আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ আমেরিকার বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলনের ছোঁয়া লেগেছে ব্রিটেনেও। আর সেই ছোয়ায় ব্রিটেন তথা যুক্তরাজ্যের প্রতিটি রাজ্যের প্রতিটি শহরে বর্ণবাদবিরোধী বিক্ষোভ থেকে দাস ব্যবসায় জড়িতদের মূর্তি অপসারণের জোয়ার উঠে। ওই জোয়ারের ধাক্কায় প্রথমে গত বোরবার ব্রিস্টলে ১৭ শতকে নির্মিত ইংরেজ দাস ব্যবসায়ী এডওয়ার্ড কলস্টনের মূর্তি ভেঙ্গে পাশের হারবার নদীতে ফেলে দেয় বিক্ষোভকারীরা। রোববারের ওই ঘটনার পর ব্রিটেনের প্রতিটি রাজ্যের বিভিন্ন শহরে স্থাপিত বিতর্কিত ক্রীতদাস ব্যবসায়ী, উপনিবেশ স্থাপনকারী, বর্ণবাদীদের মূর্তি উচ্ছেদের দাবিতে সোচ্ছার হয়েছেন বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের আয়োজকরা।
লন্ডন
বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের আয়োজকদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেন ইংল্যান্ডের রাজধানী লন্ডনের মেয়র সাদিক খান। শুধু একাত্মতা প্রকাশ করেই বসে থাকেননি লন্ডন মেয়র। এজন্য তিনি একটি কমিশন গঠন করেছেন। বিতর্কিত ক্রীতদাস ব্যবসায়ীদের মূর্তি ও নাম ফলক উচ্ছেদ এবং স্ট্রিটের নাম পরিবর্তনের ব্যাপারে ওই কমিশন পর্যালোচনা করে রিপোর্ট দিবে। রিপোর্টের ভিত্তিতে ১৬ ও ১৭ শতকের বেশ কয়েকজন বড় দাস ব্যবসায়ীর মূর্তি ও নাম ফলক উচ্ছেদ ও তাদের নামে করা স্ট্রিটের নাম পরিবর্তনের নির্দেশ দিয়েছেন লন্ডন মেয়র সাদিক খান। তবে এই পর্যালোচনার ভেতরে স্যার উইন্সটন চার্চিলের মূর্তি থাকবে না বলে নিশ্চিত করেছেন লন্ডন মেয়র সাদিক খান। লন্ডনে ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার বিক্ষোভের সময় লন্ডনে ক্ষুব্ধ বিক্ষোভকারীদের রোষানলে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার উইন্সটন চার্চিলের মূর্তিও। খবর২৪ঘন্টা /এবি