রেজাউল করিম,
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে টাকার অভাবে পঞ্চম শ্রেণীতে সমাপনী পাশ করার পরও স্কুলে ভর্তি হতে পারছিলনা আউলিয়া। স্কুল ছাত্রী আওলিয়া খাতুন উপজেলার ভাঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের তামাই পশ্চিম পাড়া গ্রামের আব্দুল আওয়ালের মেয়ে।
সাংবাদিক জহুরুল ইসলামের নিউজ পত্রিকা ও ওয়ানলাইনে প্রকাশের পর স্কুল ছাত্রী আউলিয়ার দায়িত্ব নিলেন সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক (ডিসি) কামরুন নাহার সিদ্দিকা। তিনি বেলকুচি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে আউলিয়ার খোজ খবর নিয়ে স্কুলে ভর্তির ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেন।
এরপর বেলকুচি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ওলিউজ্জামানের সহযোগীতায় তামাই বালিকা বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেনীতে স্কুল ছাত্রী আওলিয়া ভর্তি হয়েছে বলে জানা যায়।
আজ বুধবার দুপুরে উপজেলা অডিটেরিয়ামে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক( ডিসি) কামরুন নাহার সিদ্দিকা তার ভর্তির ব্যাপারে নিশ্চিত হয়ে তাকে নিজ হাতে কিছু আর্থিক অনুদান তুলে দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বেলকুচি উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মাদ আলী আকন্দ,বেলকুচি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ওলিউজ্জামান, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সুলতানা রাজিয়া মিলন, উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আফসানা ইয়াসমিন,বেলকুচি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন, যমুনা টেলিভিশনের স্টাফ রিপোর্টার গোলাম মোস্তফা রুবেল প্রমূখ।
আওলিয়াকে আর্থিক অনুদান তুলে দেওয়ার পর তার ভর্তির ব্যাপারে সাংবাদিক জহুরুল ইসলামের নিকট জানতে চাইলে তিনি সি এনএন বাংলা টিভির জেলা রিপোর্টার রেজাউল করিম কে জানান আমি আলোকিত বেলকুচির সভাপতি উজ্জল অধিকারী ও তার বন্ধু রেজাউল ও আরিফ বাবুর মাধ্যমে গত সোমবারে আওলিয়ার দুরাবস্থার কথা জানতে পেরে ঐ দিনই নিউজ করি, আর ঐ নিউজ দেখে জেলা প্রশাসক কামরুন নাহার সিদ্দিকা বেলকুচি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ওলিউজ্জামানকে ভর্তির ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেন। আর কিছু নগদ আর্থিক অনুদান আওলিয়াকে তুলে দেন।
ভর্তির ব্যাবস্থা ও কিছু নগদ টাকা অনুদান পেয়ে আওলিয়ার বাবা আব্দুল আওয়াল মোল্লা জানান, আমার আর্থিক অবস্থা খারাপ থাকায় আওলিয়া স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল। সাংবাদিকদের সহযোগিতায় আমার মেয়ে স্কুলে যাচ্ছে। তাই সাংবাদিকদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।
খবর২৪ঘণ্টা.কম/নজ