নাইজার সীমান্তের কাছে বুরকিনা ফাসোর উত্তরাঞ্চলের একটি গ্রামীণ জেলায় সপ্তাহান্তে অস্ত্রধারীরা ১০০ বেসামরিক মানুষকে হত্যা করেছে। সোমবার (১৩ জুন) নিরাপত্তা বাহিনীর একটি সূত্র বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
শনিবার রাতে সেতেঙ্গা জেলায় হামলাকারীরা পুরুষদের টার্গেট করেছিল। নিরাপত্তা সূত্র এবং অন্য দুটি সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে এ তথ্য জানিয়েছে।
তাৎক্ষণিকভাবে কোনো গোষ্ঠী এর দায় স্বীকার করেনি। তবে হামলাটি সীমান্তবর্তী এলাকায় ঘটেছে। সেখানে জঙ্গিদের আল কায়েদার সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে এবং এবং ইসলামিক স্টেট বিদ্রোহ চালাচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন স্থানীয় কর্মকর্তা বলেন, হামলা থেকে পালিয়ে আসা প্রায় তিন হাজার মানুষ বুরকিনা ফাসোর পার্শ্ববর্তী সাহেল অঞ্চলের রাজধানী ডোরিতে পৌঁছেছেন। সেখানে সাহায্য সংস্থাগুলো কাজ করছে।
তবে মৃতের সংখ্যা নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন তথ্য রয়েছে। সোমবার একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেছেন, অন্তত ১০০ জন মারা গেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি স্থানীয় সূত্র জানায়, নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬৫।
বুরকিনা ফাসোর সরকারের মুখপাত্র লিওনেল বিলগো বলেন, এখন পর্যন্ত ৫০টি মৃতদেহ পাওয়া গেছে। তবে সংখ্যাটি চূড়ান্ত নয়। সৈন্যরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে লাশ খুঁজে দেখছে।
২০১৫ সাল থেকে ইসলামপন্থী বিদ্রোহীদের সহিংসতায় বুরকিনা ফাসো, প্রতিবেশী মালি ও নাইজার জুড়ে হাজার হাজার মানুষ নিহত এবং লাখ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার একই এলাকায় অস্ত্রধারীরা ১১ জন মিলিটারি পুলিশকে হত্যা করেছে।
সোমবার এক বিবৃতিতে ‘ভুক্তভোগীর সংখ্যা বহু’ উল্লেখ করে হামলার নিন্দা করেছে এবং দোষীদের বিচারের আওতায় আনার জন্য কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।
বিএ/