মহান বিজয় দিবস-২০২১ ও বিজয়ের সূবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের আয়োজনে মহানগরীতে বসবাসরত জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান খেতাবপ্রাপ্তসহ সকল বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যগণকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে। শুক্রবার ৩১ ডিসেম্বর বিকেলে নগর ভবনের গ্রীন প্লাজায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ছয় শতাধিক বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যগণকে সংবর্ধিত করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন। বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যগণের হাতে ফুল ও শুভেচ্ছা উপহার তুলে দেন মেয়র মহোদয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা ও মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃতে বীর মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধকালীন সময়ে জীবন বাজি রেখে প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলা করে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে বিজয় ছিনিয়ে এনেছেন। লাল সবুজের পতাকার জন্য সেদিন নিজেদেরকে উৎসর্গ করেছিলেন। যারা নিজেদের জীবন-যৌবন উৎসর্গ করেছেন, সেই বীর সেনানী, মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দিতে প্রতি বছরের ন্যায় আজকের আয়োজন। আগামীতেও এইভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদান করা হবে। তাদেরকে সঙ্গে নিয়ে আমরা এগিয়ে যাবে।
মেয়র আরো বলেন, যে সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযোদ্ধারা দেশ স্বাধীন করেছিলেন, সেই স্বপ্ন পূরণে বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। দেশে ব্যাপক উন্নয়ন দৃশ্যমান। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অদম্য নেতৃত্বে পদ্মা সেতু নির্মাণ করে দেখালেন। দেশের অনেক প্রকল্প আগামী বছর দৃশ্যমান হবে। যার ধারাবাহিতায় রাজশাহীতে উন্নয়ন অব্যাহত রয়েছে। ২০৩০ সালে দেশ হবে মধ্যম আয়ের দেশ। ২০৪১ সালের আগেই বাংলাদেশ অন্যতম ধনী রাষ্ট্রে পরিণত হবে।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র-১ ও ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সরিফুল ইসলাম বাবু। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, সাবেক মেয়র ও এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাদী, সাবেক প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপিকা জিন্নাতুন নেসা তালুকদার ও রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল। স্বাগত বক্তব্য দেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নিবার্হী কর্মকর্তা ড. এ.বি.এম শরীফ উদ্দিন। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে সিটি কর্পোরেশনের
১৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল হক সুমন, ১৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল মমিন, ০৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রাসেল জামান, সিটি কর্পোরেশনের সচিব মোঃ মশিউর রহমান সহ কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দর উপস্থিত ছিলেন।
বিএ/