খবর২৪ঘন্টা স্পোর্টস ডেস্ক: আশা ছিল অন্তত একটি ম্যাচে জয়লাভ করবে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। সে লক্ষ্য নিয়েই গত ফেব্রুয়ারি-মার্চে হওয়া নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলতে গিয়েছিল সালমা খাতুনের দল। আশা পূরণ হয়নি, হতাশাই হয়েছে সঙ্গী।
সম্ভাব্য জয়টি ধরা হয়েছিল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। তাদের কাছে হারতে হয়েছে ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে। তবে তুলনামূলক শক্তিশালী নিউজিল্যান্ডকে ৯১ রানে অলআউট করে সম্ভাবনা জেগেছিল জয়ের। সেদিন আবার ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় হারতে হয়েছে ১৭ রানের ব্যবধানে।
সবমিলিয়ে চার ম্যাচের সবকয়টিতে পরাজয়। লড়াই শুধু একটি ম্যাচে। প্রত্যাশা তো মেটেইনি উল্টো প্রশ্ন উঠেছে অনেক। দলের সেরা তারকা রোমানা আহমেদকে ঠিকঠাক ব্যবহারই করেননি কোচ আঞ্জু জেইন। সাধারণত টপঅর্ডারে খেললেও বিশ্বকাপে তাকে নামানো হয়েছে ৭-৮ নম্বরে।
বিশ্বকাপের এই হতাশাপূর্ণ পারফরম্যান্সের মূল্যায়ন করতে বসার কথা ছিল বিসিবির (বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড) নারী ক্রিকেট শাখার। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে তা সম্ভব হয়নি। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে অচিরেই এ বিষয়ে পর্যালোচনা করা হবে।
বিসিবির নারী ক্রিকেট শাখার চেয়ারম্যান শফিউল আলম চৌধুরী ক্রিকবাজকে বলেছেন, ‘সবকিছু স্বাভাবিক হলে আমরা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের হতাশাজনক খেলার কারণ অনুসন্ধান করব। এই বিপর্যয়ের কারণ নিয়ে আমরা আরও আগেই বসতে চেয়েছিলাম কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে তা হয়ে ওঠেনি।’
ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইটটির প্রতিবেদন মোতাবেক, আলোচনার ফলাফল যাই হোক না কেন, কোচ পরিবর্তনের সম্ভাবনা ব্যাপক। কেননা আঞ্জু জেইনের সঙ্গে বিসিবির চুক্তি ছিল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের। এরপর দুই পক্ষে সমঝোতার ভিত্তিতে বাড়তে পারত চুক্তির মেয়াদ।
কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। বিশ্বকাপের মত মঞ্চে দলের সেরা তারকা রোমানা আহমেদকে ব্যাটিং অর্ডারে নিচের দিকে খেলানোর মতো আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত থেকে শুরু আঞ্জু জেইনের কর্তৃত্বপূর্ণ আচরণে অসন্তুষ্ট বিসিবি। তাই হেড কোচসহ পুরো কোচিং স্টাফেই আসতে পারে পরিবর্তন।
খবর২৪ঘন্টা/নই