1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
বিধি বহির্ভুত দায়িত্বে রয়েছেন আরএমপির মোটরযান শাখার পরিদর্শক সেই সাইফুল - খবর ২৪ ঘণ্টা
শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:০৯ পূর্বাহ্ন

বিধি বহির্ভুত দায়িত্বে রয়েছেন আরএমপির মোটরযান শাখার পরিদর্শক সেই সাইফুল

  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ২ নভেম্বর, ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিধি বহির্ভুত দায়িত্বে রয়েছেন রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের মোটরযান শাখার পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম। তিনি সশস্ত্র পুলিশ পরিদর্শক। আর সশস্ত্র পুলিশ পরিদর্শক কখনোই এ ধরনের দায়িত্বে থাকতে পারেন না। পুলিশ সদরদপ্তর থেকে এ ধরনের নির্দেশনা রয়েছে। এ নির্দেশনা না মেনেই তাকে এ দায়িত্বে রাাখা হয়েছে। এছাড়াও ব্যাংক থেকে কখনো লাখ কখনো বা কোটি টাকা লেনদেনের চাঞ্চল্যকর তথ্যও পাওয়া গেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পুলিশ সদরদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী সশস্ত্র কোন পুলিশ সদস্যকে কোন গুরুত্বপূর্ন পদে রাখা যাবেনা। তাদের কাজ হলো যে কোন ধরনের সহিংস ঘটনা প্রতিরোধ করবে অর্থাৎ মাঠে থাকবে। পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট অর্থাৎ পিওম তে অবস্থান করা ।

কিন্তু পরিদর্শক সাইফুলের বেলায় ঘটেছে উল্টো ঘটনা। তিনি সুবেদার থাকাকালীন সময়ে রেশন স্টোরের দায়িত্ব পালন করেছেন। এরপর আসেন মোটরযান শাখায়। পরিদর্শক পদে পদোন্নোতি পওয়ার পরও তিনি এখানেই থেকে গেছেন। যা সম্পূর্ন বিধি বহির্ভূত। মূলত তিনি প্রায় ১১ বছর বিধি বহির্ভূতভাবে আরএমপিতে দ্বায়িত্বপালন করে চলেছেন। অনুসন্ধানে জানা যায়, সাইফুল ইসলাম তার সিলে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোটরযান শাখা লিখে থাকেন এটিও আইন সম্মত নয়। শুধুমাত্র থানা পুলিশের ক্ষেত্রে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কথাটি প্রয়োজ্য। এক্ষেত্রে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা থানায় একজনই থাকেন। এছাড়াও থানায় পুলিশ পরিদর্শক আরো দুই জন। একজন পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) অন্যজন অপারেশনের দায়িত্বে থাকেন।

তবে পরিদর্শক অপারেশন এই পদটি ঢাকার বাইরে খুব বেশি জায়গায় সৃষ্টি করা হয়নি। এ বিষয়ে আরএমপির উপ-কমিশনার (লজিস্টিক) সাইফুদ্দিন বলেন কোন পদে কে থাকবে এটা সিনিয়র অফিসারের ব্যাপার। পুলিশ সদরদপ্তরে নির্দেশনা তাহলে মানা হচ্ছেনা এমন প্রশ্নে তিনি এড়িয়ে যান। এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম ব্যাংকে কখনো লাখ আবার কখনো কোটি টাকা লেনদেন করেছেন। বর্থমান পর্যন্ত এ লেনদেন অব্যাহত রয়েছে। নাম প্রকাশে পুলিশ কর্মকর্তারা অভিযোগ করে বলেন, সাইফুলের প্রতিদিনের অবৈধপথে আয় লাখ টাকার উপরে। আর এ টাকাই

ব্যাংকে রেখেছেন এবং লেনদেন করে যাচ্ছেন। প্রসঙ্গত, ভুয়া বিল-ভাউচারে গত ৫ বছর ধরে লাখ লাখ টাকা লুটেপুটে খাচ্ছেন রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) মোটরযান শাখার পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম। আরএমপি পুলিশের যত গাড়ি প্রত্যেকটিতেই তার কালো হাতের থাবা রয়েছে। ড্রাইভাররাও ভালো থাকার জন্য দ্বারস্থ হন তারই কাছে। এখানেও ওসি সাইফুল থানা ভেদে হাতিয়ে নেন মোটা অঙ্কের ঘুষ। সাইফুল প্রতিমাসে অবৈধপথে প্রায় ৪০ লাখ টাকা আয় করেন। এ সংক্রান্ত খবর গণমাধ্যমে প্রকাশ হলে তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়। একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য আসতে শুরু করেছে। ব্যাংকের লেনদেনের খবরের বিষয়ে পরিদর্শক সাইফুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার ব্যক্তিগত টাকা তুলতেই পারি আবার জমা দিতেও পারি। এটা আমার ব্যক্তিগত ব্যাপার। তিনি আরও বলেন, তার যত সম্পদ আছে সব বৈধ।

জে এন

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST