বাগমারা প্রতিনিধি:
বাগমারার গণিপুর ইউনিয়নের একডালা উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ দখল মুক্ত করার জন্য গতকাল সোমবার বাগমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একডালা গ্রামের অভিভাবকসহ শতাধিক ব্যক্তির স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ ইউএনও বরাবর দাখিল করা হয়েছে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায় উপজেলার গণিপুর ইউনিয়নের একডালা উচ্চ বিদ্যালয় ও প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন খেলার মাঠ খড় ব্যবসায়ীদের কাছে ২৫ হাজার টাকা বিনিময়ে লীজ প্রদান করায় এলাকাবাসীর মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ সূত্রে আরও জানা যায় খেলার মাঠ ইজারা দেওয়ায় সংলগ্ন বসতবাড়ী ও মাঠ সংলগ্ন উচ্চ বিদ্যালয় এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কচিকাচা শিশুরা উক্ত খড়ের ময়লা ও তুলা নিশ্বাসের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে অসুস্থ্য হয়ে পড়ছে। এতে করে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হওয়ার উপক্রম দেখা দিয়েছে। এ ব্যাপারে গ্রামবাসী
ও ছাত্র/ছাত্রী অভিভাবকরা প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি বরাবর মৌখিক ভাবে অভিযোগ করার পরেও তারা কোন তোয়াক্কা করছেনা। ইজারা গ্রহিতা মাঠের খড় জমা করা অব্যাহত রেখেছে। এ ঘটনায় গ্রামবাসীর সহিত বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। মাঠ সংলগ্ন দক্ষিন পার্শ্বে সপ্তাহে মঙ্গলবার ও শনিবার হাট বসে। হাটের বিভিন্ন দোকানদার ও বাজারের স্থায়ী ব্যবসায়ী গনের দোকানে খড়ের ময়লা ও তুলা বাতাসের মাধ্যমে খাদ্য দ্রব্যের সাথে মিশে যাচ্ছে। এতে করে জনস্বাস্থ্য চরম হুমকির সম্মুখিন হয়েছে। স্থানীয়রা আরও অভিযোগ করে জানায় বাগমারা এমপি এনামুল হক যখন বাগমারা উপজেলার খেলার মাঠ গুলো দখল মুক্ত করে খেলার উপযোগী করায় ব্যস্ত তখন
সামন্য অর্থের বিনিময়ে একডালা উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ ইজারা দিয়ে প্রতিষ্ঠান প্রধান ও সভাপতি আইনকে বৃদ্ধাগুলি দেখিয়ে চলেছে। একডালা উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি জাহিদুর রহমান মিঠু ও একডালা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি তার স্ত্রী মাহফুজা খাতুন সিমা এরা প্রধান শিক্ষকের সাথে যোগসাজসের মাধ্যমে সামন্য টাকা বিনিময়ে শিক্ষার্থীদের সাথে প্রতারনা করে চলেছে। তাই এলাকাবাসীর দাবী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সরেজমিনে তদন্ত পূর্বক দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছেন।
আর/এস
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।