আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন,যাদের নিজ দলেই গণতন্ত্র নেই, তারা দেশে কী গণতন্ত্র আনবে? বিএনপির মুখে গণতন্ত্রের কথা শোভা পায় না।
বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) রাজধানীর বনানীতে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের বোর্ড সভাশেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, গণতন্ত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অনেক আগেই শৃঙ্খলমুক্ত হয়েছে। বিএনপির নতুন করে গণতন্ত্র উদ্ধার করার প্রয়োজন নেই। নিজেদের শাসনামলে তারা গণতন্ত্রকে কতটা গুরুত্ব দিয়েছে সেটা খুঁজে দেখুক।
তিনি বলেন, ‘আজিজ মার্কা কমিশন, মাগুরা, ১৫ ফেব্রুয়ারি ও ঢাকা-১০ আসনের নির্বাচন, ২০০৬ সালে এক কোটি ভুয়া ভোটার দেখলেই বোঝা যায় তারাতো গণতন্ত্র মানে না, হত্যা করেছে। রেকর্ডতো আপনাদের জানা আছে।
মিথ্যায় যদি নোবেল প্রাইজ থাকতো তাহলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম পেতেন মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ডোনাল্ড লুর বক্তব্য নিয়ে মিথ্যাচার করছে বিএনপি। কোনো দেশের রাষ্ট্র বা দলকে নিষেধাজ্ঞা দেয়ার কোন বিধান কারও নেই। মিথ্যাচার ও ষড়যন্ত্রের জন্য বিএনপিকে নিষেধাজ্ঞা দেয়া উচিত, আওয়ামী লীগকে নয়।
বিএনপির কর্মসূচির দিন আওয়ামী লীগও কর্মসূচি দেয় কেন- প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের কর্মসূচির কি বিএনপির সঙ্গে সংঘাত ঘটেছে? আওয়ামী লীগ তার কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে সংঘাতে গিয়েছে, এমন একটা ঘটনাও নেই। মির্জা ফখরুলও এমন একটা উদাহরণ দিতে পারবেন না।
বিএনপির উদ্দেশে তিনি বলেন, তারা কর্মসূচি পালন করতে আগুন সন্ত্রাস, পুলিশের ওপর হামলা, বাস পোড়ানো, নাশকতা করেন। আমরা যেহেতু ক্ষমতায় আছি, জনগণের জানমালের অধিকার রক্ষা করা আমাদের ওয়াদা, দায়িত্ব, কর্তব্য।
আওয়ামী লীগ রাস্তা দখল করে কর্মসূচি করে না দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি সমাবেশ করলে কতগুলো রাস্তা বন্ধ থাকে। আওয়ামী লীগের শ্যামলীর সমাবেশে একপাশ বন্ধ ছিল, কিন্তু অন্যপাশখোলা ছিল। বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে পাশের দুই রাস্তা খোলা থাকে,কোনো সমস্যা হয় না।
এর আগে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের বোর্ড সভায় পদ্মা সেতুসহ সকল সেতুতে একমাত্র রাষ্ট্রপতিকে টোল অব্যাহতির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সুত্র-বাসস
বিএ/