আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি বলেছেন, বিএনপির সমাবেশের কারণে বাসমালিকরা জ্বালাও পোড়াওয়ের ভয়ে বাস চালানো বন্ধ করে দেয়। এতে সরকারের কোনও হাত নেই। বিএনপি লাঠিসোটা দিয়ে পুলিশকে পেটাচ্ছে এটা জনগণ দেখছে। এটাই বিএনপির রাজনীতি। বিএনপি তাদের নেতিবাচক রাজনীতির ধারা থেকে বের হয়ে আসতে পারেনি। অপরাজনীতির কারণে জনগণ ও নেতাকর্মী থেকে বিএনপি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।’
দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির পরিচিতি সভায় বুধবার (৩ মার্চ) তিনি এ কথা বলেন। তার সরকারি বাস ভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে সভায় তিনি যুক্ত হন।
গণতন্ত্রের মুখোশের আড়ালে বিএনপি বারবার স্বাধীনতার চেতনা ও মানবাধিকার ভূলুণ্ঠিত করেছে। স্বাধীনতা বিরোধীদের সঙ্গে মিলে বিএনপির স্বাধীনতা দিবস পালন তামাশা ছাড়া কিছু নয়।
নিজ দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘অনেকেই উপ-কমিটিতে নাম লেখানোর পর আর খোঁজ-খবর পাওয়া যায় না। উপ-কমিটির সদস্য পদে নাম লিখিয়ে কেউ কেউ কার্ড ছাপিয়ে নানা অপকর্মের সাথে জড়িয়ে পড়ে। এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। আবার একজন বিভিন্ন কমিটিতে নাম লেখান, তাদের নাম সব কমিটি থেকে বাদ দেয়া হবে।’
আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক ও আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব সুজিত রায় নন্দীর সঞ্চালনায় পরিচিতি সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলি, স্বাস্থ্য সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাপাসহ ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির নবনির্বাচিত সদস্যরা।
জেএন