বাঘা প্রতিনিধি : রাজশাহীর বাঘায় স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে দিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে পালিয়েছে স্ত্রী। আহত ওই ব্যক্তির নাম পলান সরকার (৩২)। তিনি নাটোর জেলার বাগাতিপাড়া লক্ষীপুর গ্রামের জামাল উদ্দিনের ছেলে। আজ শুক্রবার সকালে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার মনিগ্রাম ইউনিয়নের হরিরামপুর শান্তির মোড় এলাকায় এ ঘটে।
তাদের সাথে থাকা মনোয়ারা নামের এক নারী জানান, স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে দেওয়ার পর তার স্ত্রী তাকে চারঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাচ্ছিলেন। পথে ভ্যান ভাড়া দেওয়ার কথা বলে তার স্ত্রী খোদেজা বেগম (৪৫) পালিয়ে যান। খবর পেয়ে অন্যান্য লোকজন তাকে চারঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যান। পরে সেখান থেকে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল মান্নান আহত ব্যক্তি জানান, পারিবারিক কলহের জের ধরে তার স্ত্রী এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন ।
খোদেজার সাথে বিয়ে করে হরিরাপুর গ্রামে থাকতেন। খোদেজার ২ নম্বও স্বামী পলান আর পলানের দ্বিতীয় স্ত্রী হচ্ছে খোদেজা।
আহত ব্যক্তি পলান জানিয়েছেন, বাঘার হরিরামপুর গ্রামের ফয়েন উদ্দিনের মেয়ে খোদেজা বেগমের সঙ্গে ৫ মাস আগে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর স্ত্রী আপাতত শ্বশুর বাড়িতেই থাকেন। মাঝে-মধ্যেই পলান সরকার তার স্ত্রী খদেজা বেগমকে দেখতে শ্বশুর বাড়িতে আসতেন। কিন্তু এই বিষয়টি নিয়ে তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহের সৃষ্টি হয়।
এর জের ধরে শুক্রবার ভোরে দুজনের ঝগড়া শুরু হয়। এর এক পর্যায়ে খোদেজার স্বামী আবারও ঘুমোতে যান। এই সুযোগে স্ত্রী খদেজা বেগম স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলেন। পরে রক্তক্ষরণ শুরু হলে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে চারঘাট উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান স্ত্রী খোদেজা ও পাশের বাড়ির মনোয়ারা নামের এক নারি। সেখানে রক্তাত্ত অবস্থায় ফেলে রেখে পালিয়ে যান।
চারঘাট উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের দায়িত্বরত চিকিৎসক মৌসুমী রহমান বলেন, সকালে গুরুতর অবস্থায় ওই ব্যক্তিতে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আনা হয়। এরপর থেকে তার সঙ্গে আসা কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। আহত ব্যক্তির অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রামেক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, খবরটি জানার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখনও কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনি ববস্থা নেওয়া হবে।
এস/আর