রাজশাহীর বাঘায় স্বামী বাড়িতে না থাকার সুযোগে টিনের দরজা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে তিন জনের বিরুদ্ধে এক গৃহবধুকে পালাক্রমে গণধর্ষণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় বাঘায় থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে সুরুজ আলী মালিথা নামের একজনকে গ্রেফতার করেছে। আটক ব্যক্তি কলিগ্রামের রুবান মালিথার ছেলে। জনকে আটক করেছে। ভুক্তভোগী ওই গৃহবধুর স্বামী ধান কাটতে বাইরে থাকার সুবাদে ওই ৩ জন ঘরের তালা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে। পরে তারা প্রাণ নাশের ভয় দেখিয়ে একের পর এক ধর্ষণ করে। গত সোমবার (৩ মে) দিবাগত রাতে উপজেলার কলিগ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ দিন আগে ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূর স্বামী ধান কাটার জন্য নাটোর যায়। এরপর থেকে দুই সন্তান নিয়ে বাড়িতে একা ছিলেন ওই ভুক্তভোগী গৃহবধূ। এদিকে, সোমবার দিবাগত রাতে ঝড়ো হাওয়া ও সাথে বৃষ্টি হচ্ছিল। ওই দিন রাত আনুমানিক ১২টার দিকে বাড়ির প্রধান গেটের টিনের দরজা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে, একই গ্রামের রুবান মালিথার ছেলে সুরুজ আলী (৩২), এলাহি বক্সের ছেলে ঝন্টু আলী (৩৩) ও গুলুমালের ছেলে রুজদার আলী (৩৫)। পরে তারা পাশের রুমে লাগানো তালা ভেঙ্গে শয়ন কক্ষে প্রবেশ করে। সেখানে চিৎকার না করার জন্য, গৃহবধুর গলায় দেশীয় অস্ত্র ধরে প্রাণনাশের ভয়ভীতি দেখায় এবং পাশের রুমে নিয়ে গিয়ে একের পর এক পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
ভুক্তভোগী গৃহবধূ বলেন, বাধা দিলে তারা আমার সন্তানকেও মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে পাশের কক্ষে নিয়ে গিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে। এ সময় কেউ ছেলে পাহারা দিচ্ছিলো। কেউ আমার গলায় ছোরা ধরে ছিল। তারা চিৎকার করার কোন সুযোগই আমাকে দেয়নি । শেষে বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য হুমকি দিয়ে চলে যায় তারা। তবে একই গ্রামের লোক হিসেবে তাদের চিনতে পেরেছি। স্থানীয় কাউন্সিলর সাইফুল ইসলামসহ অনেকেই জানান, কয়েক বছর আগেও তাদের বিরুদ্ধে এই গ্রামের এক নারিকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। এছাড়াও তারা মাদক ব্যবসার
সাথে জড়িত। আর কালো টাকার গরমে নিজেকে হিরো মনে করে চলেন।
এ বিষয়ে বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, গনধর্ষণের অভিযোগ মামলা রেকর্ড করে প্রধান আসামী সুরুজ আলীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গৃহবধুর শারিরিক পরীক্ষার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে পাঠানো হয়েছে। মামলার অন্য আসামীদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান ওসি।
এস/আর