বাগমারা প্রতিনিধি: বাগমারার মোহনগঞ্জ গ্রামে প্রাক্তন স্বামী হোসেল রানা (৩০)র হাসুয়ার আঘাতে তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রী শারমিন আক্তার চম্পা(২৫) ও শাশুড়ী আকলিমা বেগম(৪৮) গুরুতর আহত হয়েছে। তাদেরকে আশংক্জানক অবস্থায় গ্রামবাসীরা উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছে।
গত সোমবার দুপুরের দিকে গনিপুর ইউনিয়নের মোহনগঞ্জ গ্রামে জঙ্গিষ্টাইলে এ হামলার সময় গোটা গ্রামে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে বাগমারা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছার পূর্বেই লম্পট সোহেল রানা ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়।
পুৃলিশ ও গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মাঝিগ্রামের হাবিবুর রহমানের পুত্র সোহেল রানার সাথে বিগত তিন বছর পূর্বে মোহনগঞ্জের আব্দুস সাত্তারের মেয়ে শারমীন আক্তার চম্পার মুসলীম শরীয়া মতে বিয়ে হয়।
এর পর যৌতুকসহ নানাবিধ কারণে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বনিবনা না হওয়ায় গত তিন মাস পূর্বে তাদের স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। এর আগে সোহেল রানা তার স্ত্রী শারমিন আক্তার চম্পাকে যৌতুকসহ নানাবিধ কারণে নির্যাতন করায় চম্পার পিতা আব্দুস সাত্তার সোহেল রানার বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা করে। ওই মামলা প্রত্যাহারের জন্য হোসেল রানা আব্দুস সাত্তাকে নানাবিধ হুমকি ও চাপ প্রয়োগ করে আসছিল। গত মাসের ২৩ তারিখে হোসেল রানা একই ষ্টাইলে মোহনগঞ্জে এসে আব্দুস সাত্তারের বাড়িতে ঢুকে হামলা চালিয়ে তার মাথা ফাঁটিয়ে দেয়।
এ নিয়ে বাগমারা থানায় আব্দুস সাত্তার বাদী হয়ে সোহেল রানার বিরুদ্ধে আরো একটি মামলা দায়ের করে। এ কারণে সোহেল রানা সাত্তার পরিবারের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে গত সোমবার দুপুরে কয়েকজন সাঙ্গপাঙ্গসহ সাত্তারের বাড়িতে প্রবেশ করে তার সাবেক স্ত্রী শারমিন আক্তার চাম্পা ও শাশুড়ী আকলিমা বেগমকে হাসুয়া দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্বক জখম করে । এ সময় তাদের আত্মচিৎকারে গ্রামবাসী ছুটে এসে তাদের উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল নিয়ে ভর্তি করে।
এ বিষয়ে বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা ওসি নাছিম আহম্মেদ জানান, ঘটনা জানতে পেরেই সেখানে দ্রুত পুলিশ পাঠানো হয়েছে এবং সোহেল রানাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
খবর ২৪ঘণ্টা/ নই
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।