1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
বাগমারায় প্রশাসনের আদেশ অমান্য সরকারী খালে নির্মিত হলো বাঁধ - খবর ২৪ ঘণ্টা
শনিবার, ১১ জানয়ারী ২০২৫, ০৮:৫৭ অপরাহ্ন

বাগমারায় প্রশাসনের আদেশ অমান্য সরকারী খালে নির্মিত হলো বাঁধ

  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ১৯ জুন, ২০১৮

বাগমারা প্রতিনিধি:রাজশাহীর বাগমারায় সরকারী খালে অবৈধ ভাবে পাকা বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ চেষ্টার অভিযোগ শিরোনামে গত ১২ জুন স্থানীয় সহ বেশ কয়েকটি অনলাইনে নিউজ প্রকাশিত হওয়ায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লা আল মামুন। বাঁধটি মির্মিত হলে কয়েকটি বিলের ধান সহ অনেক ফসল হুমকির মুখে পড়বে বিষয়টি ভেবে এলাকাবাসীর সামনে ইউপি সদস্য প্রভাবশালী রফিকুল ইসলামকে বাঁধটি ভেঙ্গে ফেলার আদেশ প্রদান করেন। পরে প্রভাবশালী ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম সহকারী কমিশনার(ভূমি)র নিকট একটি লিখিত মুছলেখা দেন যে ১৫ জুনের মধ্যে সরকারী খালে অবৈধ ভাবে নির্মিত বাঁধটি ভেঙ্গে ফেলা হবে।

অথচ ১৫ তারিখের আগেই সেখানে পাকাপুক্ত ভাবে বাঁধ নির্মাণ কাজ শেষ করেছে সেই ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম। প্রশাসনের বাঁধ ভাঙ্গার মুছলেখা দিয়ে যদি সে মোতাবেক কাজ না হয় তাহলে মুছলেখার কি অর্থ দাঁড়ায় এমনটায় প্রশ্ন জনমনে।
জানাগেছে, দীর্ঘদিন থেকে নরদাশ ইউনিয়নের হাতিয়ার বিল এবং কোলার বিলে চারপাশের লোকজন যৌথভাবে শেয়ারের ভিত্তিতে কৃষি জমিতে ধান চাষের পাশাপাশি মাছ চাষ করে আসছে। বিলটিতে বন্যার সময় বন্যা আসলেও তাতে কৃষকের তেমন কোন ক্ষতি

হয় না। কারণ ওই দুটি বিল সহ পাশের গোবিন্দপাড়া ইউনিয়নের কইচা বিল, দাইমা বিল এবং হড়ংবিলের পানি কোলার বিলের মাঝখান থেকে চন্ডিপুর গ্রামের ব্রীজের নিচ দিয়ে ২০-২৫ ফিট প্রশস্থ একটি হাতিনার দাঁড়া (পানি নামার জায়গা) আছে যা সরকারী খাস। দাঁড়াটি বিলের মাঝ দিয়ে হাট-মাধনগর ব্রীজের কাছে কম্পো নদীর সাথে মিলিত হয়েছে। এতে করে বিল দুটিতে পানির সমন্বয় রক্ষা হয়। সেই সাথে ওই খাঁল দিয়েই কয়েকটি বিলের অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশন হয়ে থাকে। ফলে বিনা ঝামেলায় কৃষকরা ধান সহ অন্যান্য ফসলের আবাদ করতে পারছে।

বর্তমানে বিলটিকে ঘিরে নরদাশ ইউনিয়নের প্রভাবশালী ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম তার বাহিনী নিয়ে জোর পূর্বক পরিকল্পিত ভাবে শত শত কৃষকের ক্ষতি করে চন্ডিপুর ব্রীজের কাছে হাতিনার দাঁড়ার উপরে পাকাপোক্ত ভাবে একটি আরসিসি বাঁধ নির্মাণ কাজ শেষ করেছে।
বাঁধটি নির্মাণ করায় দুই ইউনিয়নের ৪-৫ টি বিলের হাজার হাজার হেক্টর জমির ধান চাষ ব্যাহত হবে এমন আশঙ্কা এলাকাবাসীর।

বাঁধটি নির্মানের কারনে অপুরণীয় ক্ষতির মুখে পড়বে কোলার বিল সহ কয়েকটি বিলের হাজার হাজার কৃষক। বাগমারা উপজেলা যেহেতু কৃষি নির্ভর তাই কৃষকের যেন কোন ক্ষতি না হয় সে কারনে দ্রুত নির্মিত বাঁধটি ভেঙ্গে ফেলা প্রয়োজন।
ফলে যে কোন সময় কৃষকের সাথে প্রভাবশালী মৎস্য চাষী ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলামের লোকজনের মধ্যে রক্তক্ষয়ি সংঘর্ষের

সৃষ্টি হতে পারে। জনস্বার্থকে বাদ দিয়ে নিজের ইউপি সদস্যকে স্বার্বিক সহযোগিতা করে চলেছেন নরদাশ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন। চেয়ারম্যান আব্দুল মতিনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
গত ১২ জুন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ঘটনাস্থল থেকে আসার পরপরই রফিকুল ইসলাম ও তার বাহিনী মিলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করায় আরেক ইউপি সদস্য সেকেন্দার আলীকে রাস্তা অবরোধ করে বেধড়ক মারপিট করে গুরুতর আহত করে।

সেই সাথে ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রফিকুল ইসলাম একই এলাকার আব্দুল মান্নান ও ময়েজ উদ্দীনকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে পিটিয়ে জখম করে। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এলাকাবাসীর সেই সাথে বাঁধটি ভেঙ্গে ফেলার পক্ষে যারা কথা বলছে তাদেরকে তুলে নিয়ে গিয়ে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছে রফিকুল ইসলাম ও তার বাহিনী। কয়েক

জনের উপরে হামলা চালিয়ে আহত করায় ইউপি সদস্য সেকেন্দার আলী রফিকুল ইসলাম সহ কয়েক জনের বিরুদ্ধে বাগমারা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করে। অভিযোগ হলেও পুলিশ এ ব্যাপারে দৃশ্যমান কোন পদক্ষেপ নেননি বলে এলাকাবাসী জানান। বর্তমানে বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
থানার অফিসার ইনচার্জ নাছিম আহম্মেদ বলেন, বর্তমানে ওই এলাকার পরিস্থিতি শান্ত। পুনরায় কিছু ঘটলে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

প্রভাবশালী ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম বলেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) আমাকে ডেকে একটি কাগজে স্বাক্ষর করে নিয়েছে। যদি সরকার চাই বাঁধ ভাঙ্গা লাগবে তাহলে ভেঙ্গে ফেলবো।
এ ব্যাপারে সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ আল মামুনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। সরকারী জায়গায় কোন মতে বাঁধটি নির্মান করতে দেয়া হবেনা। বাঁধটি ১৫ জুনের মধ্যে ভেঙ্গে ফেলা হবে মর্মে ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম লিখিত আকারে আমাদের নিকট একটি মুছলেখা প্রদান করেছেন। পুনরায় কেন তারা সেখানে বাঁধ নির্মান কাজ শেষ করলো সে বিষয়ে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST