বাগমারা প্রতিনিধি: রাজশাহীর বাগমারায় সকল ক্ষেত্রে চলছে ঘুষ দূর্নীতি। প্রতিবাদ করলেই হামলা মামলা গুমের হুমকি। সবাই যেন ভয়ে নিরব। সবার সামনে ঘটছে ঘুষ বানিজ্য। ভয়ে মুখ খুলছে না কেহ। অফিস পাড়া সহ সর্বত্রই ঘুষছাড়া কোন কাজ হচ্ছে না। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্চে বাগমারার সাধারণ জনগণ। রক্ষক যখন ভক্ষক তখন আর কি করবে জনগণ। জনপ্রতিনিধিরা যদি অসৎ তাহলে আমলারা তো সে সুযোগ নিবেই।
এতে দোষের কিছু নেই। এ যেন বেড়ায় আবাদ খাওয়ার মত অবস্থা। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর দীর্ঘ সময় বাগমারা এম.পি ও মন্ত্রী ছিলেন প্রয়াত সরদার আমজাদ হোসেন তখন কিন্তু বাগমারায় ঘুষ দূর্নীতি ছিল না। সব কিছুই চলেছে স্বাভাবিক নিয়মে। তিনি নিজ এলাকা সহ সারা দেশের ছিলেন সততার প্রতীক। তিনি সারা জীবন রাজনীতি করেছেন জনগণের জন্য। ছিল না কোন লোভ লালসা । ঢাকা শহরে ভাড়া বাড়ীতে থেকেই তিনি রাজনীতি করেছেন জনগণের জন্য। সে একজন সৎ রাজনীতি বিদ ছিলেন। তাঁকে কেহ কোন চাকুরী বা কোন প্রকার তদবিরের জন্য ঘুষ দিতে হয় নি। এছাড়াও বাগমারায় দুই দুইবারের সফল এম.পি ছিলেন মোহাম্মাদ আবু হেনা। তাঁর দশ বছরে বাগমারায় গড়ে উঠেছে অসংখ্যা স্কুল কলেজ মাদ্রাসা।
বিনা টাকায় নিয়োগ পেয়েছে এলাকার শত শত শিক্ষিত ছেলে মেয়েরা। নিয়োগ পেতে কাউকে কোন টাকা দিতে হয়নি। কিন্তু এখন কি অবস্থা সেটা সবারই জানা। প্রয়াত সরদার আমজাদ হোসেন ও সাবেক এম.পি মোহাম্মাদ আবু হেনা বাগমারা বাসীর কাছে এখনও সৎ নেতা হিসেবে পরিচিত। ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করে না। যার যেখানে স্থান পাওয়ার যোগ্য সেখানেই তার ইতিহাস লেখা হয়। ইতিহাস বড়ই কঠিন।
জোর করে ইতিহাস বদলানো যায় না। বাগমারা বাসী এখন সবাই নিরব ভূমিকা পালন করে দেখছে তাদের খেলা। সময় হলেই সমুচিত জবাব দিবে বাগমারা বাসি। শুধুই সময়ের অপেক্ষা। ভয় দেখিয়ে বেশি দিন চলা যায় না। বর্তমানে যারাই ঘুষ দূর্নীতির প্রতিবাদ করছে দলের হলে বহিস্কার আর অন্যদের মামলা হামলা গুম ও চাকুরীচ্যুত করার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। বাগমারার সচেতন মহল মনে করেন। এই অবস্থা বেশি দিন চলবে না। আগামী জাতীয় নির্বাচনে এর অবসান ঘটবে বলে আশা করছেন এলাকা বাসি।
খবর২৪ঘণ্টা.কম/রখ