বাগমারা প্রতিনিধি: রাজশাহীর বাগমারার হাটখালগ্রাম এলাকা থেকে মসজিদের এক ইমামকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে অপহরণের দু’দিনে খোঁজ পাওয়া যায়নি। শুক্রবার দুপুরে হাটখালগ্রাম মসজিদে জুম্মার নামাজের জন্য ইমামতি করতে যাওয়ার সময় উপজেলার তকিপুর-খালগ্রাম সড়কের বটতলা মোড় থেকে কালো রংয়ের একটি মাইক্রোবাসে তাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বলে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সরদার জান মোহাম্মদ ও বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাছিম আহম্মেদ জানিয়েছেন। তবে কারা তাকে তুলে নিয়ে গেছে তা জানা যায়নি। এই ঘটনার পর থেকে এলাকাবাসীর মধ্যে আতংক সৃষ্টি হয়েছে।
অপহৃত ওই ইমামের নাম সৈয়দ বাহারুল ইসলাম বিন হেলালী (৩৫)। তার বাবার নাম সৈয়দ নুরুল ইসলাম। বাড়ি মাগুড়া জেলার মোহাম্মদপুর উপজেলার চৌবাড়িয়া গ্রামে। তিনি বাগমারা উপজেলার আউচপাড়া ইউনিয়নের হাটখালগ্রাম জামে মসজিদের ইমাম ছিলেন। এছাড়াও তিনি তকিপুর হাফিজিয়া মাদ্রাসায় শিশুদের কোরআন শিক্ষা দিতেন এবং রাজশাহী কোরআন শিক্ষা একাডেমী নামে একটি প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ছিলেন তিনি। চার বছর ধরে তিনি বাগমারার হাটগাঙ্গোপাড়া এলাকার বানাইপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলামের বাড়িতে পরিবার নিয়ে ভাড়া থাকেন। তার এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
উপজেলার আউচপাড়া ইউপির চেয়ারম্যান সরদার জান মোহাম্মদ জানান, জুম্মার নামাজ পড়ানোর জন্য খালগ্রাম মাসজিদের দিকে মোটরসাইকেল যোগে যাচ্ছিলেন ইমাম বাহারুল ইসলাম। তকিপুর-খালগ্রাম সড়কের বটতলা মোড় পোঁছালে সাদা পোষাকধারী কায়েকজন লোক তাকে জোরপুর্বক মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে চলে যায়। আর তার মোটরসাইকেলটি আরেকজন নিয়ে গেছে। আগে থেকেই সেখানে একটি কালো রংয়ের মাইক্রোবাস থেমে ছিল। সন্ধ্যার আগ পর্যন্ত সেখানে বাহারুলের মোবাইল, টুপি, রুমাল, কলম
ও সেন্ডেল পড়ে ছিল। পরে তার স্ত্রী ডলি আক্তার ঘটনাস্থলে গিয়ে সেগুলো তার স্বামীর বলে সনাক্ত করেন।
বাহারুলের স্ত্রী ডলি আক্তার জানান, জুম্মার নামাজ পড়ানোর জন্য শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে তার স্বামী মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। বাড়ির সামনে একজন লোক তার মোটরসাইকেলের পিছনে উঠেন। এর পর থেকেই তার আর কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি। তবে সন্ধায় স্থানীয়দের কাছে জানতে পেয়ে বটতলায় গিয়ে তার স্বামীর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনের পেছনের অংশ, টুপি, রুমাল, কলম ও সেন্ডেল পড়ে থাকতে দেখে তা নিয়ে গিয়েছেন। গতকাল শনিবার বিকেলে পর্যন্ত তার স্বামীর কোন সন্ধান পায়নি বলে তিনি জানান।
বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছিম আহম্মেদ বলেন, এই ঘটনায় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে। তারা বিষয়টি নিয়ে খোঁজ খবর নিচ্ছেন। তবে কে বা কারা এবং কি কারণে তাকে তুলে নিয়ে যেতে পারে তা জানা যায়নি। বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধান চলছে বলেও ওসি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
খবর২৪ঘণ্টা.কম/জেএন