আলতাফ হোসেন, বাগমারা:
রাজশাহীর বাগমারার সমগ্র উপজেলায় আগ্রাসী রূপ ধারণ করেছে নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন। ঈদকে সামনে রেখে নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবহার ব্যাপক হারে বেড়ে গেছে। যা পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে। হাটবাজার সয়লাব হয়ে গেছে এসব পলিথিনে। প্রকাশ্যে বিক্রি ও ব্যবহার হচ্ছে পলিথিন শপিং ব্যাগ। নিষিদ্ধ পলিথিন শপিং ব্যাগে উপজেলা সদর সহ গ্রামাঞ্চলের হাট বাজারগুলোতে এখন সয়লাব হয়ে গেলেও উপজেলা প্রশাসন রয়েছে নিরব। ফলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নাকের ডগায় প্রকাশ্যে বিক্রি ও সরবরাহ হচ্ছে এসব পলিথিন শপিং ব্যাগগুলো। কাঁচা বাজার থেকে শুরু করে মাছ-মাংস ও অন্যান্য খাবার এমনকি প্রসাধনিসহ কিছু কিনলেই পলিথিনের ব্যাগে ঢুকিয়ে দিচ্ছে
দোকানীরা। আর অবাধ পলিথিনের ব্যবহারের কারণে এখন আর কেউ চট বা কাগজের ব্যাগ ব্যবহারই করছে না। ২০০১সালের মার্চ মাস থেকে সারা দেশে পলিথিন ব্যাগ উৎপাদন, বিপনন এবং ব্যবহার নিষিদ্ধ করে সরকার। কিন্তু তার পরও বন্ধ হয়নি নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন। বাগমারা উপজেলা সদরসহ গ্রামাঞ্চলের বিভিন্ন হাট বাজারে ব্যবহার অবাধে চলছে এর বিক্রি ও ব্যবহার। পলিথিনের অবাধ বিক্রি ও ব্যবহারের কারণে প্রতিনিয়ত পত্যিাক্ত পলিথিনের কারণে কৃষি জমি এবং পরিবেশ মারাত্মকভাবে দূষিত হচ্ছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানান, পলিথিন দীর্ঘদিনেও মাটির সাথে মেশেনা বা পচেনা। এর বিষক্রিয়ায় কৃষি জমির উর্বরতা কমিয়ে দেয়। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শহীদুল ইসলাম জানান, পলিথিনের খাদ্য দ্রব্য মানুষের শরীরে নানা রোগ দেখা দেয়। এমনকি মরণ
ব্যাধি ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে। আইন থাকলেও কার্যকর না থাকায় বাগমারায় পলিথিন ব্যাগের চলছে রমরমা ব্যবসা। বিভিন্ন রং এবং সাইজের পলিথিন ব্যাগ শহর সহ গ্রামাঞ্চলের এমন কোন হাট বাজার নেই যেখানে পাওয়া যায় না। পাইকারি, খুচরা সবভাবেই কিনতে পাওয়া যায় সর্বত্র এই সর্বগ্রাসি পলিথিন ব্যাগ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, ফ্যাক্টরীতে উৎপাদন ও বিপণন বন্ধ না করা পর্যন্ত স্থানীয় পর্যায়ে এর ব্যবহার রোধ করা সম্ভব নয়। তাই সরকারের উচিত প্লাস্টিক ফ্যাক্টরীগুলোতে যাতে পলিথিন ব্যাগ উৎপাদন ও বিপণন করতে না পারে সেই ব্যাপারে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা গুলোর
কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে। পর্যবেক্ষক মহলের মতে পরিবেশ বাঁচাতে অবিলম্বে পলিথিন ব্যাগের বিকল্প পরিবেশ বান্ধব ব্যাগ ব্যবহারের ব্যবস্থা এখনই সবচেয়ে জরুরী। এজন্য পাট, কাপড় ও কাগজের ব্যাগ ব্যবহারে জনসাধারণকে উদ্বুদ্ধ, উৎসাহিত করতে হবে। আর পলিথিন উৎপাদন ও বিপণনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন আবশ্যক বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করেন।
আর/এস