বাগমারা প্রতিনিধি:
রাজশাহীর বাগমারায় বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌর এলাকায় স্থাপতি ৯ টি ইটভাটা গুড়িয়ে দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর। সম্প্রতি পরিবেশ অধিদপ্তর গত এক সপ্তাহ ধরে অভিযান চালিয়ে এসব ইটভাটা গুড়িয়ে দিয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে বাগমারা বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌরসভা এলাকায় স্থাপিত ইটভাটা গুলো গুড়িয়ে দেয়ার কার্যক্রম শুরু করেছে রাজশাহীর পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। সর্বশেষ গত বুধবার রাজশাহীর পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মামুনুর রশীদ আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্য পুলিশসহ ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ৯ টি এবং এর আগে আরো ৩টি ইটভাটা গুড়িয়ে দেয়া হয় । এই নিয়ে স্থানীয় জনসাধানের মাঝে পরিবেশ
অধিদপ্তরের পক্ষপাতমূলক আচরনের জন্য ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা দাবী করে বলেন, বাগমারায় ৫০ টি ইটভাটার স্থলে এখন মাত্র অর্ধেকে নেমে এসেছে। তার উপর পরিবেশ অধিদপ্তরের লোকজন কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে একের পর এক ইটভাটা গুলো গুড়িয়ে দেওয়ার এখানে ইটের মূল্য বৃদ্ধি সহ সার্বিক নির্মাণ কাজ হুমকির মুখে পড়বে বলে এলাকার লোকজন জানিয়েছেন। পরিবেশ অধিদপ্তরের এমন হটকারি অভিযানে বাগমারার ইটভাটা মালিকরা ও বিভিন্ন নির্মাণ কাজে জড়িত ঠিকাদার সহ এলাকার বিভিন্ন শ্রেনি পেশার লোকজন ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। অভিযানে ক্ষতিগ্রস্থ ভাটা মালিকরা বলেন, আমরা সরকারী নিয়ম মেনে বৈধ ভাবে ইটভাটা করতে চাই। আমরা প্রতি বছর পরিবেশ বান্ধব ইটভাটার মালিকরা ভ্যাট ও ইনকাম ট্যাক্্র সহ অন্যান্য লাইসেন্স বাবদ প্রায় চার লক্ষাধীক টাকা
সরকারি কোষগারে প্রদান করি। পক্ষান্তরে সরকার নিষিদ্ধ ড্রাম চিমনীর ইঠবাটার মালিকরা কোন ইনকাম ট্যাক্্র ও ভ্যাট প্রদান না করে পরিবেশ অধিদপ্তরকে ম্যানেজ করে বহাল তবিয়তে তাদের ইটভাটা চালিয়ে যাচ্ছে । বারবার ড্রাম চিমনী ভাটার বিরুদ্ধে এলাকাবাসী পরিবেশ অধিদপ্তরে অভিযোগ জানালেও রহস্যজনক কারণে ড্রাম চিমনী ইটভাটা মালিকদের বিরুদ্ধে কোন অভিযান বা ব্যবস্থা গ্রহন করছে না। তারা আরো অভিযোগ করে বলেন ২০১৩ সালে ইটভাটা নিয়ন্ত্রন আইনে ড্রাম চিমনীর ইটভাটাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তার পরেও পরিবেশ অধিদপ্তর সরকারের নিয়ম অমান্য করে ড্রাম চিমনী মালিকদের বিরুদ্ধে কোন অভিযান না চালিয়ে টাকার বিনিময়ে তাদের অবৈধ কাজকে বৈধতা নিয়ে চলেছে। প্রায় ৮/১০
জন ভাটা মালিকরা অভিযোগ করে বলেন, বাগমারায় এখনও ১৮ টি ড্রাম চিমনী ইটভাটা পরিবেশ অধিদপ্তরের সাথে যোগসাজসে ব্যবসা চালিয়ে আসছে। ভাটা মালিকদের সূত্রে আরো জানা গেছে, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নেওয়ার জন্য রাজশাহী হয়ে বগুড়া পরিবেশ অধিদপ্তরে গিয়ে বিভিন্ন হয়রানীর সম্মুক্ষীন হতে হয়। পরিবেশ অধিদপ্তরের লোকজন আইনী অজুহাত দেখিয়ে ছাড়পত্র প্রদান করা থেকে বিরত থাকে। এই অবস্থায় পরিবেশ অধিদপ্তরের বিভিন্ন অবৈধ দাবী মেনে নিয়েই ইটভাটা মালিকরা তাদের ব্যবসা পরিচালনা করে থাকেন। এতে করে সরকার প্রতি বছর কোটি কোটি টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়ে থাকে।
এদিকে পরিবেশ অধিদপ্তরের লোকজন গত এক সপ্তাহের অভিযানে বাগমারার ৯ টি ইট ভাটা গুড়িয়ে দিয়েছে । গুড়িয়ে দেওয়া এসব ভাটার মালিকরা উচ্চ আদালতে একটি রিট পিটিশন দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে ভাটা মালিকরা জানান।
আর/এস