নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, যে মানুষটি দেশকে স্বাধীন করার জন্যে জীবন-যৌবন উৎসর্গ করেছিলেন, পারিবারিক সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য করেননি, বাঙালির মুক্তির জন্যে সারাজীবন সংগ্রাম করে গেছেন, তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি কারাবন্দী থেকেছেন, আন্দোলন করেছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ত্যাগের অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন।
১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক কার্যালয়ে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে এসব কথা বলেন তিনি। প্রধান অতিথির বক্তব্যে এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগ হওয়ার পরপরই বঙ্গবন্ধু বুঝতে পেরেছিলেন এই স্বাধীনতায় আমাদের কোনো লাভ নেই। দেশ ভাগ হলো আমরা কিছুই পেলাম না। আমরা আবারো পশ্চিম পাকিস্তানের অধীনস্ত হয়ে পড়লাম। বিষয়টি বুঝতে পেরে দেশ ভাগের পরই বঙ্গবন্ধু বাঙালিকে একত্রিত করেছিলেন, জনমত গড়ে তুলেছিলেন। আর বাংলাদেশ স্বাধীনতার নয়-দশ বছর আগ থেকে তিনি কাজ শুরু করেছিলেন।
জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান হেনার সন্তান মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, একটি কুচক্রি মহল ইতিহাস বিকৃত করার অপচেষ্টা চালিয়েছিল। কিন্তু সত্য কখনো চাপা থাকে না, একদিন প্রকাশিত হয়, তাই হয়েছে। ইতিহাস ইতিহাসের গতিতে চলছে। আগামীতেও চলবে।
লিটন আরো বলেন, বর্তমান প্রজন্মের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ-চেতনা ঢুকে গেছে। বাংলাদেশ যতদিন থাকবে, ততদিন সবাইকে বঙ্গবন্ধু, তাঁর পরিবার, জাতীয় চার নেতা ও শহীদদের অবদান স্মরণ করতে হবে। আগামী প্রজন্ম আগামীতেও ভালোভাবেই বঙ্গবন্ধু, তাঁর পরিবার, জাতীয় চার নেতা ও শহীদদের অবদান স্মরণ করবে।
রাজশাহীতে আওয়ামী লীগ এখন অনেক সংগঠিত জানিয়ে মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, রাজশাহী ছিল মিনি পাকিস্তান। বঙ্গবন্ধু শহীদ হওয়ার পর রাজশাহীতে আওয়ামী লীগের নৌকা টানা কঠিন ছিল। আমরা আওয়ামী লীগের নৌকা টেনে সেই অবস্থা থেকে বেরিয়ে এসেছি।
তিনি আরো বলেন, বর্তমানে হাইব্রিডের অত্যাচার অনেক বেশি। খারাপ সময় আসলে তাদের খুঁজে পাওয়া যাবে না। তাই হাইব্রিডদের কাছ থেকে সাবধান থাকতে হবে। রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার গড়ার স্বপ্ন পরিপূর্ণভাবে পূরণে কাজ করছেন। দেশকে উন্নয়নের চূড়ান্ত শিখরে নিয়ে যাচ্ছেন। রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী আলমগীর এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম শেখ ও রাকাব পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. রুস্তম আলী আহমেদ। আলোচনা সভা শুরুর আগে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পন ও বঙ্গবন্ধুসহ তাঁর পরিবারের শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
খবর২৪ঘণ্টা/এমকে