রাবি প্রতিনিধিঃ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ ইউনোস্কো কতৃক ‘বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য’ ঘোষিত হওয়ায় আনন্দ র্যালী করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, বিভাগ এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন।
আজ বুধবার সকালে র্যালীটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এম আব্দুস সোবহানের নেতৃত্বে প্রশাসন ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে শহীদ মিনারে মিলিত হয়।এর পর মুক্তমঞ্চে বংঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সেখানে সমবেত কন্ঠে জাতীয় সংগীত গাওয়া হয়।
এরপরে সেখানে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে র্যালীটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে সিনেট ভবনের সামনে শেষ হয়।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনন্দ কুমার সাহা,প্রক্টর ড. এম লুৎফর রহমান, জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক ড. প্রভাষ কুমার কর্মকার, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক জান্নাতুল ফেরদৌস সহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ এবং প্রশাসনের কর্মকর্তা কর্মচারীরা।
এরই মধ্যে মূল র্যালীতে যুক্ত হতে থাকে নিজস্ব ব্যানারে বিভিন্ন বিভাগ থেকে আসা শিক্ষক শিক্ষার্থীরা।এসময় শত শত শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সমাগমে লোকে লোকারণ্যে পরিণত হয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা জান্নাতুল ফেরদৌসের সঞ্চালনায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে উপাচার্য এম আব্দুস সোবহান বলেন, “আমাদের যেমন কষ্টের দিন আছে তেমনি আনন্দের দিনও আছে। আজকের দিনটি আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের।গান্ধীজী অসহযোগ আন্দোলন করে বিশ্ব স্বীকৃতি না পেলেও বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ আজ ইউনোস্কো কতৃক ঘোষিত বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য, পাকিস্তানী শাসক গোষ্ঠীর দীর্ঘ ২৪ বছর নির্যাতন নিপীড়নের পর এর ভাষণ বাঙ্গালী জাতির আশা আকাংকার প্রতীক হয়ে উঠেছিল, ইউনোস্কো এই স্বীকৃতির মাধ্যমে আমাদের কে যেমন সম্মানিত করেছে তেমনি ভাবে তারাও আমাদের কাছে সম্মানিত হয়েছে।
খবর২৪ঘণ্টা.কম/রখ