জেলা প্রতিনিধিঃ বগুড়ায় আত্মহত্যার উদ্দেশ্যে স্বামীর ঘুমের ট্যাবলেট সেবনের দৃশ্য দেখে স্ত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। আজ বগুড়া শহরের রহমাননগর এলাকায় এঘটনা ঘটেছে। পুরো ঘটনাটি নিয়ে পুলিশ তদন্ত করেছে।
বগুড়া সদর থানা পুলিশ জানায়, বগুড়া শহর স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক শহিদুল ইসলাম বাপ্পী নিজ বাসায় পারিবারিক কলহের জের ধরে স্ত্রীর সামনেই একসাথে বেশ কিছু ঘুমের ট্যাবলেট সেবন করে। এদৃশ্য দেখে তার স্ত্রী শান্তা ইসলাম (৩২) নিজেও আত্মহত্যার উদ্দেশ্যে ঘরের দরজা বন্ধ করে সিলিং ফ্যানের সাথে ওড়না পেচিয়ে ফাঁস দেয়। এসময় বাবা-মা’র এ দৃশ্য দেখে তাদের স্কুল পড়ুয়া মেয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। ঘটনা জানতে পেরে প্রতিবেশিরা গিয়ে স্বামী-স্ত্রী ও তাদের মেয়ে দিপ্তী ইসলামকে উদ্ধার করে বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক সম্পা ইসলামকে মৃত ঘোষণা করেন এবং অসুস্থ অবস্থায় বাপ্পী ও তার মেয়ে দিপ্তীকে হাসপাতালে ভর্তি করায়। খবর পেয়ে বগুড়া সদর থানা পুলিশ সদস্যরা দুপুর ২টায় সম্পা ইসলামের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। বিকালে ময়না তদন্ত শেষে লাশ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করে। প্রায় ১৬ বছর আগে তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বাপ্পী বগুড়া শহরের রহমান নগরের মােতালেবের ছেলে এবং বাপ্পীর স্ত্রী বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার সিরাজুল ইসলামের মেয়ে শম্পা ইসলাম।
বগুড়া পৌরসভার ১০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আরিফুর রহমান জানান, তুচ্ছ ঘটনায় স্বামী স্ত্রী ঝগড়ার নিয়ে এমন ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। হাসপাতালে ভর্তি হলেও শহিদুল ইসলাম ও তার মেয়ে এখন সুস্থ আছে।
বগুড়া সদর থানার ওসি এমদাদ হোসেন জানান, লাশ উদ্ধার করে পোষ্টমর্টেমের জন্য বগুড়া শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ মর্গে প্রেরণ করা হয় এবং পোস্টমর্টেম শেষে লাশ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বগুড়া বনানী পুলিশ ফাঁড়ির এসআই আবু সাঈদ জানান, সংবাদ পেয়ে দুপুর ২টায় বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল চত্বর থেকে লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করা হয়। দুপুরে শহিদুল ইসলাম বাপ্পী ও তার মেয়েও হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল।
খবর২৪ঘণ্টা.কম/রখ
