বগুড়া প্রতিনিধি: বগুড়ার শিবগঞ্জে সর্দি-জ্বর নিয়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় ২৮ মার্চ শনিবার সকালে উপজেলার ময়দানহাটা ইউনিয়নের দাড়িদহ গ্রামের ১৫টি পরিবার লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।
জানা যায়, মৃত ব্যক্তি ঢাকায় ব্যবসা করতেন। ঢাকায় অবস্থানকালে গত ২৪ মার্চ থেকে জ্বর,শর্দি কাশি ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হন। এ অবস্থায় ২৭ মার্চ শিবগঞ্জে আসেন। ওইদিন সন্ধ্যার পর তিনি বেশী অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকের কাছ থেকে ওষুধ নিয়ে সেবন করেন। শনিবার (২৮ মার্চ) ভোর রাতে তিনি মারা যান। পরে ওই ব্যক্তির স্ত্রী করোনাভাইরাস সংক্রান্ত হটলাইনে ফোন করে বিষয়টি জানান।
এ প্রসঙ্গে শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তারকনাথ কুÐু জানান, তাদের একজন চিকিৎসক সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ওই ব্যক্তির বাড়িতে যান। কিন্তু তখন তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। শনিবার সকাল ১০ টায় মরদেহ পরিদর্শন করে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের প.প কর্মকর্তা. ডা. সামির হোসেন মিশু বলেন, আমরা ইতিমধ্যে ঢাকায় কথা বলেছি। মৃতদেহে থেকে নমুনা হিসেবে লালা সংগ্রহ করে আইইডিসিআর-এ পাঠানো হচ্ছে।
মৃত ব্যাক্তির বিষয় নিয়ে শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আলমগীর কবির জানান, মৃত ওই ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহের জন্য স্বাস্থ্য দপ্তরের মাধ্যমে রোগতত্ত¡, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানকে (আইইডিসিআর) অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে বগুড়ার সিভিল সার্জন ডা. গওসুল আজিম চৌধুরী জানান, আইইডিসিআর কর্তৃপক্ষ বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের প্যাথলজি বিভাগের মাধ্যমে নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠাতে বলেছেন। সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলমগীর কবির বলেন, যেহেতু ওই ব্যক্তির মধ্যে করোনার উপসর্গ ছিল সে কারণে তার নমুনা পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আর সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ওই ব্যক্তির বাড়ির আশপাশের ১৫টি বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান জানান, অদ্য ৪টি লক ডাউন করা পরিবারের মাঝেসহ থানার সকল লক ডাউন পরিবারের মাঝে খাবার সামগ্রী পৌছে দিয়ে আসছি এবং হোম কোয়ারেন্টাইনের বিষয়ে সচেতনতামুলক পরামর্শ অব্যাহত রেখেছি।
খবর২৪ঘণ্টা, এমকে