বগুড়া প্রতিনিধি: বগুড়ার সোনাতলা উপজেলায় পারিবারিক কলহের জের ধরে বড় ভায়রার লাঠির আঘাতে ছোট ভায়রার মৃত্যু হয়েছে।চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ বৃহস্পতিবার সকালে তার মৃত্যু হয়।পুলিশ বড় ভায়রাকে গ্রেফতার করেছে। এঘটনায় সোনাতলা থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।
স্থানীয় ও এলাকাবাসী সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার জোড়গাছা ইউনিয়নের মধ্য দিঘলকান্দী গ্রামের নেদু প্রামানিকের ছেলে আবুল হাসেম (৩০) প্রায় ৮ বছর পূর্বে বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় বিয়ে করেন। বিয়ের ৩ বছর পর তার ছোট শালিকাকে একই গ্রামের বাবু মিয়ার ছেলে মিজানুর রহমানের (২৭) সাথে বিয়ে দেন। সম্প্রতি মিজানুর রহমানের সাথে তার শ্বশুর বাড়ির লোকজনের ঝগড়া হয়।
একারনে গত সপ্তাহে বড় ভায়রা আবুল হাসেম বাড়ি থেকে বাজারে যাওয়ার পথে ছোট ভায়রা মিজানুর রহমান তাকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে মারধর করে। এই ঘটনার প্রতিশোধ নিতে বড় ভায়রা আবুল হাসেম গতকাল বুধবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে দিঘলকান্দী কিয়াছের মোড়ে লাঠি নিয়ে ওৎ পেতে ছিল। এসময় ছোট ভায়রা মিজানুর রহমান মোড়ে পৌছামাত্র জনসমুক্ষে বড় ভায়রা আবুল হাসেম লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মাথা থেতলে দেয়।
এসময় সে পালানোর চেষ্টা করলে স্থানীয় লোকজন বড় ভায়রা আবুল হাসেমকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। আহত অবস্থায় ছোট ভায়রা মিজানুর রহমানকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৫ টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
সোনাতলা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শরিফুল ইসলাম বড় ভায়রাকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এঘটনায় সোনাতলা থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।
খবর২৪ঘণ্টা.কম/নজ