1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
বগুড়ার শেরপুরে পিইসি পরীক্ষার্থীনীর বিয়ে! - খবর ২৪ ঘণ্টা
রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:১ পূর্বাহ্ন

বগুড়ার শেরপুরে পিইসি পরীক্ষার্থীনীর বিয়ে!

  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ২৭ নভেম্বর, ২০১৭

শেরপুর(বগুড়া)প্রতিনিধি: কিশোরী গৃহবধূ কাজলী। শ্বশুড় বাড়ী হতে এসে পিইসি পরীক্ষা দিচ্ছেন। কি এমন বয়স হয়েছে তার যে কৈশোর না পেরুতেই বিয়ের পিড়িতে বসতে হলো। যখন সে পরীক্ষা শেষে বাড়ীতে এসে সঙ্গী সাথীদের নিয়ে পুতুল খেলায় ব্যাস্ত হয়ে পড়ার কথা, তখন তাকে শ্বশুড় বাড়ীতে গিয়ে স্বামী সংসার নিয়ে যান্ত্রিক জীবনের বোঝা টানতে হচ্ছে। সত্যিই কি সে সংসার নামক এই বোঝা টানতে পারবে। নাকি সংসার নামক যাতাকলে পিষ্ট হয়ে আমাদের কে দেখিয়ে দেবে বাল্য বিয়ে নামক এক অভিষাপের ভয়াবহতা।
বগুড়ার শেরপুরে কোন কিছুতেই রোধ করা যাচ্ছে না বাল্য বিয়ের। ফলে বাল্য বিয়ের শিকার হয়ে অনেক কিশোরীর জীবন হয়ে পড়ছে অনিশ্চিত। এ সব বাল্য বিয়ের কারন সম্পর্কে অনুসন্ধানে জানা যাচ্ছে, দারিদ্রতা ও সামজিক নিরাপত্তাই মুল কারন। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে ও শহরতলীতে বাল্য বিয়ের প্রবনতা সবচেয়ে বেশি।
এমনই একটি বাল্য বিয়ের শিকার বাগড়া গ্রামের হাবিবুর রহমান হবির মেয়ে কাজলী আক্তার। সে বাগড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেনীর শিক্ষার্থী। এবারের পিইসি পরীক্ষা দেয়ার কথা থাকলেও পরীক্ষার বেশ কয়েকদিন পূর্ব থেকে স্কুলে অনুপস্থিত দেখে ওই বিদ্যালয়ের সভাপতি আব্দুল হালিম খোকন খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন ওই ছাত্রীর বিয়ে হয়ে গেছে। পরে তিনি নিজ উদ্দ্যেগে পরীক্ষা দেয়ার জন্য ওই ছাত্রীর শ্বশুড় শাহাদতকে অনুরোধ করেন। কিন্ত তিনি তাতে রাজী না হলে পরে বিভিন্ন ব্যাক্তি দিয়ে বুঝিয়ে পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করান।
বিভিন্নভাবে তথ্য নিয়ে নিয়ে জানা যায়, কাজলী আক্তার দেখতে সুন্দর হওয়া ও পিতা মাতা অভাবী হওয়ায় তাকে দ্রুত বিয়ে দেয়া হয়েছে। গত ১০ অক্টোবর আমইন গ্রামের শাহাদত হোসেনের ছেলে আব্দুল আলীমের সাথে বিয়ে দেয়া হয়।
মেয়ের পিতা অটোচালক হাবিবুর রহমান হবি জানান, আমি গরীব মানুষ। মেয়ে দেখতে সুন্দর হওয়ায় বিভিন্ন জায়গা থেকে বিয়ে আসছিল, ছেলেটি পছন্দ হওয়ায় বিয়ে দিয়েছি। এত অল্প বয়সে বিয়ে দিলেন কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, বর্তমানে আমাদের যে সামাজিক অবস্থা কখন কি হয়ে যায় বলা মুশকিল। একবার কোন অঘটন ঘটলে বিয়ে দেয়া কঠিন হয়ে যাবে।
বিদ্যালয়ের সভাপতি আব্দুল হালিম খোকন বলেন, আমরা সব সময় খোঁজ খবর রাখি তারপরেও গোপনে ওই ছাত্রীর বিয়ে দেয়া হয়েছে। আমি জানতে পেরে অনেক চেষ্টার পর তাকে পরীক্ষায় অংশগ্রহন করাতে পেরেছি। এটি সামাজিক মুল্যবোধের অভাব। কেননা এত ছোট মেয়েকে বিয়ে দিয়ে শশুড় বাড়ীতে পাঠিয়ে দিয়ে সংসারের বোঝা মাথায় চাপিয়ে দেয়া অনেক বড় অন্যায়।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল কাইয়ুম জানান, আমরা সব সময় বাল্য বিয়ের কুফল সম্পর্কে অভিভাবকদের সচেতন করার চেষ্টা করি। তারপরেও যারা এই কাজ করছেন জানতে পারলে তাৎক্ষনিক আইনী ব্যবস্থা নিই। কিন্ত দু একটি এমন গোপনভাবে বিয়ে দেয় কেউ জানতে পারেনা।

 

খবর২৪ ঘন্টা/নই

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST