বিশ্বকাপ ফাইনালের মত লিওনেল মেসির কাছে আরও একবার হেরে গেলেন কিলিয়ান এমবাপে। ফিফা দ্য বেস্ট গালা নাইট অনুষ্ঠানের আগেরদিনই জোড়া গোল করেছিলেন এমবাপে, একটি গোল করেন মেসি। যেমনটা বিশ্বকাপের ফাইনালে হ্যাটট্রিক করেছিলেন এমবাপে, মেসি করেছিলেন ২ গোল।
মাঠের খেলা দুথজনের গোলের ব্যবধানে এমবাপে এগিয়ে থাকলেও ট্রফি জয়ের ক্ষেত্রে তিনি পিছিয়ে। বিশ্বকাপ যেমন জিততে পারেননি, মেসির কাছে হেরেছিলেন, এবার ফিফা বর্ষসেরার পুরস্কারেও মেসির কাছে হারলেন তিনি। নিজের ক্লাব সতীর্থ এবং ফ্রান্সের তারকা ফুটবলার কিলিয়ান এমবাপেকে হারিয়ে ফিফা বর্ষসেরার পুরস্কার জিতে নিয়েছেন লিওনেল মেসিই।
এমনিতেই ফিফা বর্ষসেরার দৌড়ে মেসিই এগিয়েছিলেন। কাতার বিশ্বকাপে অসাধারণ পারফম্যান্স দেখিয়েছেন। নিজের দেশকে ৩৬ বছর পর শিরোপা এনে দেয়ছেন। জিতে নিয়েছেন টুর্নামেন্ট সেরা গোল্ডেন বলের পুরস্কার। সুতরাং, ফিফা বর্ষসেরা কেন, আগামী ব্যালন ডিথঅরও যে আর্জেন্টাইন তারকার হাতে উঠতে যাচ্ছে, সে বিষয়ে কারো সন্দেহ ছিল না।
বাস্তবেও হলো তাই। এমবাপেকে পেছনে ফেলে বর্ষসেরার পুরস্কার হাতে তুলে নিলেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা। এ নিয়ে সপ্তমবারের মত ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কার উঠলো মেসির হাতে।
বিভিন্ন নামে ১৯৯১ সাল থেকে বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কার দিয়ে আসছে বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থাটি। শুরু থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ‘ফিফা ওয়ার্ল্ড প্লেয়ার অব দ্য ইয়ারথ নামের পুরস্কারটি একবার জেতেন মেসি, ২০০৯ সালে। সে থেকে শুরু সেরার মঞ্চে এই মহাতারকার আধিপত্যের।
এরপর ছয় বছর ফরাসি ম্যাগাজিন ‘ফ্রান্স ফুটবলথ আর ফিফা মিলে দেয় ফিফা ব্যালন ডিথঅর। এই পুরস্কারটি মেসি জেতেন ২০১০, ২০১১, ২০১২ ও ২০১৫ সালে। এরপর ২০১৬ সাল থেকে ফিফা এককভাবে বর্তমানের ‘দ্য বেস্টথ পুরস্কার দিয়ে আসছে। ২০১৯ সালের পর যা এবার আবারও জিতলেন মেসি।
মেসি এই পুরস্কার জেতার ক্ষেত্রে পেয়েছেন ৫২ পয়েন্ট। প্রতিটি দেশের অধিনায়ক, কোচ, দর্শক এবং ফিফা নির্ধারিত কিছু সাংবাদিক ফিফা বর্ষসেরা নির্বাচনে ভোট দেয়ার সুযোগ পান। দ্বিতীয় হওয়া এমবাপে পেয়েছেন ৪৪ পয়েন্ট।
তৃতীয় স্থানে থাকা করিম বেনজেমার পয়েন্ট ৩৪। এরপর রয়েছেন লুকা মদরিচ (২৮), আরলিং হালান্ড (২৪), সাদিও মানে (১৯), হুলিয়ান আলভারেজ (১৭), আশরাফ হাকিমি (১৫), নেইমার (১৩), কেভিন ডি ব্রুইন (১০), ভিনিসিয়ুস জুনিয়র (১০), রবার্ট লেওয়ানডস্কি (৭), জুড বেলিংহ্যাম (৩), মোহাম্মদ সালাহ (২)।
বিশ্বকাপ ফাইনালে মেসির জোড়া গোল এবং এমবাপের হ্যাটট্রিকের সুবাদে ১২০ মিনিট পর্যন্ত খেলার ফল ছিল ৩-৩। টাইব্রেকারে আর্জেন্টিনা ৪-২ গোলে হারায় ফ্রান্সকে। বিশ্বকাপের সেরা ফুটবলার হয়ে মেসি সোনার বল পান।
তিনি মোট ৭টি গোল করেন। বেশ কিছু রেকর্ড ভেঙে দেন। এমবাপে ৮টা গোল করে প্রতিযোগিতার সর্বোচ্চ গোলদাতা হন এবং সোনার বুট জিতে নেন।
তৃতীয় স্থানে থাকা ফ্রান্সের করিম বেনজেমা চোটের জন্য বিশ্বকাপ খেলতে পারেননি। গত মৌসুমে তিনি রিয়াল মাদ্রিদকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ এবং স্প্যানিশ লিগে চ্যাম্পিয়ন করেন।
বিএ/