খবর২৪ঘন্টা নিউজ ডেস্ক: ফকিরহাটের কাকডাঙ্গা এলাকায় যাত্রীবাহী বাস ও রড বোঝই ট্রাকের মুখোমুখি সংর্ঘষে নিহত ৮ জনের মধ্যে ৫ জনের নাম পরিচয় পাওয়া গেছে। শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে ওই দুর্ঘটনার পরপরই যাত্রীবাহী রাজিব পরিবহনের ৫ যাত্রী নিহত হয়।
গুরুতর আহত অন্তত ১৫ জনকে ওই সময় খুলনা, ফকিরহাট ও গোপালগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে শনিবার রাতেই খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় আরও ৩ জন যাত্রী।
বাগেরহাট কাটাখালী হাইওয়ে থানা পুলিশের ভাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রবিউল ইসলাম জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় রোববার দুপুর পর্যন্ত নিহত ৮ জনের মধ্যে ৫ জনের নাম পরিচয় জানা গেছে। পুলিশ নিহতদের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করছে।
তারা হলেন, খুলনার সাচিবুনিয়া গ্রামের ছিরু মিঞার স্ত্রী রুমি আক্তার (৩৫), বরগুনার তালতলী উপজেলার বথিরপাড়া গ্রামের সগীর খাঁর স্ত্রী হামিদা বেগম (৩০), কুষ্টিয়ার খাদা মজুপুর এলাকার মোশারেফ হোসেনের ছেলে আব্বাস উদ্দীন (৪৫), মাদারীপুর জেলার পূর্বতলা গাজিরা গ্রামের জগদীশ হালদারের ছেলে অপূর্ব হালদার (৩৬) এবং রাজৈর উপজেলার লিয়াকত আলীর পাঁচ মাসের শিশু লাফিজা খাতুন।
প্রসঙ্গত, ঢাকা থেকে রড বোঝাই একটি ট্রাক বাগেরহাটের দিকে যাচ্ছিল। শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ফকিরহাট উপজেলার কাকডাঙ্গা এলাকায় খুলনা থেকে বরিশালগামী রাজিব পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাসের সঙ্গে ট্রাকটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এসময় বাসটি উল্টে গেলে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
এদিকে ফকিরহাট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের হেফাজতে থাকা ৩ বছরের ফুটফুটে শিশুটির পরিচয় মিলেছে। তার নাম স্বপ্নীল সাহা। সে গোপালগঞ্জ উপজেলার কোটালিপাড়া গ্রামের আনন্দ সাহার ছেলে। স্বপ্নীলের মামা অধির সাহা ফেসবুকের তথ্য ধরে ফকিরহাট হাসপাতাল থেকে শনিবার রাতে এসে স্বপ্নীলকে নিয়ে গেছে।
তবে স্বপ্নীলের মা সুপ্রিয়া সাহা খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিৎকিসাধীন রয়েছে। মায়ের সঙ্গে স্বপ্নীল খুলনা থেকে ওই বাসে উঠেছিল। দুর্ঘটনার পর শনিবার বিকেলে উদ্ধার কর্মীরা ওই শিশুটিকে দুর্ঘটনাকবলিত বাস থেকে আহত অবস্থায় ফকিরহাট হাসপাতালে নিয়ে আসে।
খবর২৪ঘন্টা/নই