জেলা প্রতিনিধিঃ মুন্সীগঞ্জের সদর উপজেলার ১১৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় গ্রেফতার ৯ জনের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
একই সঙ্গে মামলাটি অধিক গুরুত্ব ও তদন্তের স্বার্থে গোয়েন্দা শাখায় হস্তান্তর করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে আমলী আদালত-১ এর বিচারক হায়দার আলী এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মুন্সীগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম জানান, এসব মামলা অধিক গুরুত্ব বহন করায় এবং মামলার বৃহত্তর তদন্তের স্বার্থে গোয়েন্দা শাখায় প্রেরণ করা হয়েছে। ঢাকাতেও এ ধরনের মামলা গোয়েন্দা শাখা ও সিআইডি তদন্ত করে থাকে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মফিজুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে গ্রেফতারদের ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে মুন্সীগঞ্জ জেলা আদালতে হাজির করলে আমলী আদালত-১ এর বিচারক হায়দার আলী দুই দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মো. কাজিম (২২), রফিকুল ইসলাম (২০), রতন মিয়া (২৪), আব্দুর রহিম (২১), মো.কামরুল হাসান (২৫), মোস্তাফিজুর রহমান (২২), রিয়াজ মিয়া (২০), সাখাওয়াত হোসেন (২৫) ও জাকির হোসেন (২৫)।
এদেরকে মঙ্গলবার রাতে সদরের বিভিন্ন মেস থেকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া বুধবার রাতের গ্রেফতার ৫ জনকে থানা হেফাজতে রাখা হয়। এ ঘটনায় সবার বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে মামলা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনার অন্যতম হোতা লিজা আক্তারসহ আরও কয়েকজনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। তাদের গ্রেফতার করার জন্য একাধিক টিম কাজ করছে।
উল্লেখ্য, সদর উপজেলার সরকারি-বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের কারণে দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির ২৭ হাজার শিক্ষার্থীর পরীক্ষা স্থগিত করে কর্তৃপক্ষ। আগামী ১৭ ডিসেম্বর থেকে নতুন প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
খবর২৪ঘণ্টা.কম/রখ