1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
পুলিশ কর্মকর্তা ‘চড় দেওয়ার পর’ বৃদ্ধের মৃত্যু - খবর ২৪ ঘণ্টা
সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:১৮ পূর্বাহ্ন

পুলিশ কর্মকর্তা ‘চড় দেওয়ার পর’ বৃদ্ধের মৃত্যু

  • প্রকাশের সময় : বৃস্পতিবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২০

খবর২৪ঘন্টা নিউজ ডেস্ক: চট্টগ্রাম নগরীর টেরিবাজারে দুই দোকান কর্মচারীকে পুলিশ ফাঁড়িতে ধরে নেয়ার পর সেখানে একজনের মৃত্যু হয়েছে। ওই দোকানের অপর কর্মচারীর অভিযোগ, পুলিশ কর্মকর্তা চড় দেওয়ার পরই নিহত কর্মচারী অজ্ঞান হয়ে যান।

বুধবার সন্ধ্যায় নগরীর কোতোয়ালী থানার টেরিবাজারে এ ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সিএমপি।

পুলিশ হেফাজতে মৃত গিরিধারি চৌধুরী (৬০) টেরিবাজারের মোহাদ্দেছ মার্কেটের প্রার্থনা বস্ত্রালয়ের কর্মচারী।

স্থানীয় বক্সিরহাট পুলিশ ফাঁড়িতে ধরে নিয়ে যাওয়া প্রার্থনা বস্ত্রালয়ের অপর কর্মচারি নিখিল দাশ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘মালিকের নির্দেশে হিসাব তৈরি করতে তারা দোকান খুলেছিলেন। কিন্তু পুলিশ গিয়ে তাদের ফাঁড়িতে ধরে নিয়ে যায়। সেখানে নেয়ার পর টহল পুলিশের এএসআই কামরুল ইসলাম গিরিধারিকে চড় মারেন। এ সময় গিরিধারি অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর তিনি মারা যান।’

এ বিষয়ে টেরিবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান বলেন, ‘লকডাউনের মধ্যে টেরিবাজারের সব দোকানপাট বন্ধ। বুধবার বিকেলে টেরিবাজারের মোহাদ্দেছ মার্কেটের প্রার্থনা বস্ত্রালয় খুলে সেখান থেকে কয়েকজন কর্মচারী বস্তায় করে কাপড় বের করছিলেন। রিকশায় তোলার সময় ওই মার্কেটে সিকিউরিটির দায়িত্বে থাকা লোকজন তাদের জিজ্ঞেস করে। পরে সেখানে টহল পুলিশ আসে। পুলিশ চার বস্তা কাপড়সহ রিকশা এবং দুজন কর্মচারীকে নিয়ে ফাঁড়িতে যায়। এরপর শুনেছি, সেখানে এক কর্মচারী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে মেডিকেলে নেওয়ার পর মৃত ঘোষণা করা হয়’।

সিএমপির উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) এস এম মেহেদী হাসান প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে জানান, দোকানের ভেতর থেকে তিন কর্মচারী মালামাল বের করছিলেন। টেরিবাজারের স্থানীয় লোকজন চুরি ভেবে পুলিশকে খবর দিয়ে আনে। এরপর কর্মচারীদের পুলিশ ধরে ফাঁড়িতে নিয়ে যায় এবং মালিককে ফোন করার জন্য কর্মচারী গিরিধারি চৌধুরীকে বলে। সেখানে গিরিধারি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে অজ্ঞান পড়ে যান। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।

তিনি বলেন, কেউ কিন্তু পুলিশ মারধর করেছে এমন অভিযোগ করেনি। তারপরও যেহেতু পুলিশ হেফাজতে মারা গেছে, এরজন্য আমরা বিষয়টি তদন্ত করার জন্য এডিসির নেতৃত্বে তিন সদস্যের কমিটি করেছি। এক দিনের মধ্যে রির্পোট দিতে বলেছি।

তিনি জানান, এ ছাড়া কোতোয়ালী থানার বক্সিরহাট পুলিশ ফাঁড়ির কামরুল ইসলাম ও দুই কনস্টেবলসহ তিনজনকে দায়িত্ব থেকে ক্লোজ করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।

খবর২৪ঘন্টা/নই

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST