1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
পুলিশে শাস্তি হলেও চাকরি বহাল - খবর ২৪ ঘণ্টা
বৃহস্পতিবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০:৩৯ পূর্বাহ্ন

পুলিশে শাস্তি হলেও চাকরি বহাল

  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ২১ জুন, ২০১৯

খবর২৪ঘণ্টা.কম: গত ৯ বছরে ১ লাখ ২০ হাজার ১৯১টি ঘটনায় পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তথ্য বলছে, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা, ধর্ষণ ও ধর্ষণচেষ্টা, অপহরণ, খুন, ছিনতাই, নির্যাতন, ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায়, মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া, যৌন হয়রানিসহ নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় পুলিশ সদস্যদের বিভাগীয় শাস্তি দেওয়া হয়।

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, গড় হিসাবে বছরে ১৩ হাজার ৩৫৪টি ঘটনায় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে শাস্তি নামমাত্র। অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের এক শতাংশেরও চাকরি যায় না।

পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (মিডিয়া) সোহেল রানা বলেন, ‘বিভাগীয় শাস্তির ক্ষেত্রে সাধারণত দায়িত্বে অবহেলা, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বৈধ আদেশ অমান্য করা, ক্ষমতার অপব্যবহার, অপেশাদার আচরণ, উৎকোচ গ্রহণ ইত্যাদি গুরুত্ব পায়।’

পিআরবি-১৮৬১ (পুলিশ প্রবিধান) অনুযায়ী, কোনও পুলিশ সদস্য অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়ালে তার বিরুদ্ধে ২ ধরনের বিভাগীয় শাস্তির (লঘু ও গুরু) বিধান আছে। গুরুদণ্ডের আওতায় চাকরি থেকে বরখাস্ত, পদাবনতি, পদোন্নতি স্থগিত, বেতন বৃদ্ধি স্থগিত ও বিভাগীয় মামলা হয়। মামলায় অপরাধ প্রমাণিত হলে বরখাস্ত করা হয়। গুরুদণ্ডের বিরুদ্ধে আপিলের সুযোগ আছে। ছোট অনিয়ম বা অপরাধের জন্য দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার, অপারেশনাল ইউনিট থেকে পুলিশ লাইনস বা রেঞ্জে সংযুক্ত করে লঘুদণ্ড দেওয়ার বিধান আছে।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, মানবাধিকার পরিস্থিতি ও নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করেন নূর খান লিটন। পুলিশের বিভাগীয় শাস্তি নিয়ে তার পর্যবেক্ষণও আছে। বিভাগীয় শাস্তির বিষয়ে তিনি  বলেন, ‘আমরা লক্ষ্য করেছি শাস্তি হলেও এক ভাগ ক্ষেত্রেও চাকরি যায় না। পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্তের পর সাধারণত তাদের ক্লোজড বা সংযুক্তি করা হয়। এবং পরবর্তীতে বলা হয়, তাদের শাস্তি দেওয়া হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘কোনও কোনও ক্ষেত্রে কিছু সময়ের জন্য তাদের হয়তো অন্যত্র সংযুক্ত করে রাখা হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তারা বাহিনীতেই থেকে যায়। খুব কমসংখ্যক ঘটনায় পদাবনতি হয়, ইনক্রিমেন্ট কাটা পড়ে অথবা পুলিশ বাহিনী থেকে বের করে দেওয়া হয়।’

নূর খান লিটন বলেন, “লঘু ও গুরুদণ্ডের মাঝখানে তদন্তের যে ব্যাপারটা থাকে সেখানে ‘নরম’ আর ‘গরম’ বলে দুটি বিষয় আছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই অভিযোগের গুরুত্ব থাকলেও কম গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। ফলে দেখা যায়, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তারা খালাস পেয়ে যায়।’

বিভিন্ন ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তির ঘটনা বাড়ছে। এর কারণ জানতে চাইলে সাবেক আইজিপি নুরুল হুদা বলেন, ‘শাস্তি হওয়াটা ভালো দিক। তার মানে প্রতিষ্ঠানে শৃঙ্খলা আছে। শাস্তি হওয়া নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। শৃঙ্খলা মেনে চলা প্রতিষ্ঠান হিসেবে শাস্তি দেওয়া হয় যথাযথ কারণেই। লঘুদণ্ড দেওয়া হয় ছোটখাটো অপরাধের জন্য। গুরুদণ্ডও খুব বেশি হয়নি।’ তিনি বলেন, ‘লোকজন রাতারাতি সব ভালো হয়ে যাবে তা-ও মনে করার কারণ নেই।’ সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন

খবর২৪ঘণ্টা, জেএন

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST