নিজস্ব প্রতিবেদক :
পুলিশের সামনেই হোস্টেলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের মারধর করেছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। আর এতে ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছেন শিক্ষার্থীরা। নাম না প্রকাশ করার শর্তে একাধিক ছাত্রী অভিযোগ করেন, ঘটনার শুরু থেকেই পুলিশ ছিল। ছাত্রীরা নিজেদের নিরাপত্তার দাবিতে অধ্যক্ষের কার্যালয়ে গিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে স্মারকলিপি দিয়ে অবস্থান করছিলেন। এ সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে হাঙ্গামা লাগাতে চায়। তখনই পুলিশ সেখানে অবস্থান করছিল। এরপর আর পুলিশ পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে পারেনি।
পুলিশের সামনেই ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের মারধর করেছে। কেউ পালিয়ে যেতে চাইলে তাকেও চুলের মুঠি ধরে ধাক্কা দিয়েছে। আবার কাউকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছে। সার্বক্ষণিক পুলিশ ছিল। তারপর কিভাবে ছাত্রলীগ ছাত্রীদের উপর হামলা করতে পারলো? তাই ছাত্রীরা হামলাকারী ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বিচার দাবি করেছেন। বিচার না হলে তারা আন্দোলতে যেতেও বাধ্য হবেন বলে হুশিয়ারি দেন।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ঘটনাস্থলে থাকা পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, পুলিশ দায়িত্ব পালন করেছে। এর মধ্যেই ধাক্কাধাক্কিতে কেউ কেউ আহত হয়েছে। তারা পরিস্থিতি শান্ত করেছেন।
ঘটনার পর বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা। তারা নিজেদের নিরাপত্তা দাবি করেছে।
উল্লেখ্য, ছাত্রলীগের চাঁদাবাজি ও ছাত্রীদের সাথে অশালীণ আচরণ করায় নিজেদের নিরাপত্তার দাবিতে শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষের কার্যালয়ে স্মারকলিপি দিতে গেলে এ ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় ১০ জন ছাত্রী আহত হয়।
এ বিষয়ে আইএইচটির অধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমি এই প্রতিষ্ঠানে নতুন। এখন কিছু বলতে পারবোনা। বসে পরবর্তী করণিয় ঠিক করা হবে।
খবর২৪ঘণ্টা/এমকে