সবজি চাষ করে লাভবান হচ্ছেন পুঠিয়ার কৃষকরা। সে জন্য অনেক কৃষকই এখন এই পেশায় মনোনিবেশ করেছেন শীতকালীন সবজির চাষের দিকে। আবহাওয়া অনুকূল ও তেমন রোগবালাই না থাকায় শীতের সবজি চাষে বাম্পার ফলন পাচ্ছেন কৃষকেরা তেমনি পুঠিয়া উপজেলার বেলপুকুর ইউনিয়নের ভাংড়া এলাকার এক সফল সবজি চাষি মোসা: পারনিমা বেগম (৪৬) । স্বামীর কিছু সংখ্যক জমিতে মরিচ, কচু, শসা, লাউ, শিম, বরবটি, টমেটোসহ নানা শীতকালীন সবজি চাষ করে আসছেন। প্রায় ১৫ বছর ধরে তিনি নিজেই সবজি চাষাবাদ করেন এবং যাবতীয় কীটনাশক ও পরিচর্যা করেন। সরেজমিনে ভাংড়া মধ্যপাড়া পারনিমা বেগমের সবজি ক্ষেতে গিয়ে দেখা যায় মরিচ ও শিমে তিনি নিজেই পরিচর্যা করছেন । এ সময় পারনিমা জানান, বর্তমানে খুচরা ও পাইকারি বাজারে সবজি বিক্রি খুব ভাল। তাই এসব সবজি চাষ করে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়া যায়। শীতের আবহাওয়া শুরুর সাথে সাথেই সবজির চাষাবাদ শুরু করেন তিনি। এখন তার ক্ষেতে শিম, মরিচ ও ধান রয়েছে। যা থেকে ক্ষেতের ও নিজের শ্রমের খরচ বাদ দিয়েও ভালোই লাভ থাকবে বলে তার ধারণা । এই ফসল চাষ শেষে এই জমিতেই অন্য কোন সবজি চাষ করবেন বলে জানান তিনি।
পারনিমা বেগম আরো বলেন, কোন ট্রেনিং ছাড়াই বাজার থেকে বীজ কিনে ১৫/১৬ বছর যাবত সবজি চাষ করছি। তার এই সবজি ক্ষেত দেখাশুনা করেন তিনি নিজেই। এই সবজি চাষ করে তার এক মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন ও এক মেয়েকে প্যারামেডিকেলে পড়াচ্ছেন এবং ৬ বছরের এক ছেলের খরচ যোগানদেন। এবং স্বামী দেলোয়ার হোসেন সিরাজগঞ্জের একটি স্কুলে শিক্ষক হিসাবে নিয়োজিত আছেন। সেই সুবাদে তিনি সিরাজগঞ্জেই থাকেন এবং মাঝে মধ্যে ছুটিতে এসে স্ত্রীর সঙ্গে তিনিও সবজির জমিতে পরিচর্যা করেন।
তিনি আরও বলেন, ভাংড়া ব্লকের উপ সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মুক্তাদেরুল হক, স্যার আমার যাবতীয় শাক সবজি চাষ করতে উৎসাহ ও পরামর্শদেন, তার পরামর্শে সবজি চাষ করে ভাল ফল পাচ্ছি।
এ বিষয়ে বেলপুকুর ইউনিয়নের ভাংড়া ব্লকের উপ সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মুক্তাদেরুল হক জানান, পারনিমা বেগম শীতের শাক সবজি শিম, লাউ, মরিচ, টমেটোসহ অনেক সবজি চাষ করে লাভবান হচ্ছেন। পারনিমার মতো নারীরা যদি এই ভাবে শাক সবজি ও মাঠ ফসল চাষাবাদ করে তাহলে কৃষিতে অনেক সাফল্য হবে । তার দেখে এখন এই এলাকায় অনেক নারী কৃষি কাজে বিভিন্ন সবজি চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। এবং এভাবে নারীদের কৃষি কাজে অংশিদারিতা বাড়লে সবজি চাষে অনেক সাফল্য হবে বলে আশা করে এই কর্মকর্তা।