রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলা ছাত্রদলের মধ্যে দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের। এমন পরিস্থিতিতে গতকাল রোববার (১৬ অক্টোবর) পুঠিয়া উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে পূর্ণাঙ্গ কমিটি দেয়া হয়েছে। তবে কমিটি নিয়ে বিপত্তি দেখা দিয়েছে।
উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক হুমায়ুন কবিরের স্বাক্ষর ও সীল জালিয়াতি করে তার অজান্তে বিভিন্ন ইউনিয়নের কমিটি দেয়া হয়েছে বলে সদস্য সচিবের বিরুদ্ধে ওইদিন রাতে অভিযোগ করেছে সে।
অভিযোগে প্রকাশ, সদস্য সচিব মেহেদী হাসান জুয়েল হীন চরিতার্থের লক্ষ্য নিয়ে এই কমিটি গুলো দিয়েছে। প্রতিটি কমিটি মাত্র ১৫/২০ করে রাখা হয়েছে। এতে উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক হুমায়ুন কবিরের স্বাক্ষর ও সীল জালিয়াতির কথাও বলা হয়েছে। আহবায়ক হুমায়ুন কবির জানায়, দলীয় প্যাড ব্যবহার করে সদস্য সচিব তার স্বাক্ষর ও সীল জালিয়াতির মাধ্যমে বিভিন্ন ইউনিয়নের পূর্ণাঙ্গ কমিটি দিয়েছে। এ ঘটনার তীব্র প্রতবাদ জানিয়ে জেলা ও কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের কাছে সদস্য সচিবের শাস্তি দাবি করেছে সে।
তবে সদস্য সচিব মেহেদী হাসান জুয়েল জানায়, আহবায়কের স্বাক্ষর জাল করার প্রশ্নই উঠে না। বিএনপির উপজেলা যুগ্ম আহবায়ক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাকিবের উপস্থিতিতে আহবায়ক স্বাক্ষর করেছে। এখন অভিযোগের নামে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। সবকিছু জেলা ছাত্রদলকে জানানো হয়েছে।
এদিকে রাজশাহী জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও সাবেক এমপি নাদিম মোস্তফা জানান,নব্বই দশকে পুঠিয়ায় ছাত্রদলের ভিত্তি তৈরি করি। পুঠিয়া ছাত্রদলে অসংখ্য নেতাকর্মী রয়েছে। ইউনিয়ন কমিটি গুলোতে মাত্র ১৫/২০ জন করে রাখায় বিস্ময় প্রকাশ করেন তিনি।
বিএ/