রাজশাহীর পুঠিয়ায় গরু চুরির হিড়িক পড়েছে। এতে করে গরু খামারিদের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। এসব গরু চুরির ঘটনায় গরু খামারিরা চুরি আতঙ্কে রাত্রি যাপন করছেন।
গরু চুরি ঠেকাতে তারা রাতের ঘুম হারাম করে গরু পাহারা দিচ্ছে। তারপরও গরু চুরির ঠেকানো যাচ্ছেনা বলে অভিযোগ উঠেছে। গত এক সপ্তাহে ১১ টি গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে পুঠিয়ার বিভিন্ন এলাকায়। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের চুরি ঘটনাও বৃদ্ধি পেয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
গত সপ্তাহে উপজেলার ভালুকগাছি ইউনিয়নের ধোকড়াকুল গ্রামে নজুরুল ইসলামের প্রায় ১ লক্ষ টাকা মূল্যের একটি ষাঁড় গরু চুরি হয়, একই গ্রামের মহসিন আলীর প্রায় ৪ লক্ষ টাকা মূল্যের ৩টি গরু ও নাসির মন্ডল নামের এক খামারির ৩ লক্ষ টাকা মূল্যের একটি ষাঁড় গরু চুরি হয়।
গতকাল শুক্রবার (২৬ মে) দিবাগত রাতে পুঠিয়া পৌরসভার গন্ডগোহালি ওয়ার্ডের (আগিনাদহ) কাবিল উদ্দিনের প্রায় দেড় লক্ষ টাকা মূল্যের একটি গাভী ও একই এলাকার আরিফ হোসেনের ১ লক্ষ টাকা মূল্যের একটি ষাঁড় গরু চুরি হয়। এছাড়াও মাইপাড়া গ্রামের রেজাউল করিমের প্রায় চার লক্ষ টাকা মূল্যের দুইটা ষাঁড় গরু ও আদিবাসি পল্লীর লিপি টুডুর প্রায় ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের ১ জোড়া গরু চুরি হয়। গত বুধবার দুপুরে পুঠিয়া সদরের কাঁঠালবাড়িয়া স্টেডিয়াম পাড়ার মিন্টুর একটি ছাগল চুরির ঘটনা ঘটে।
মকবুল হোসন নামের এক কৃষক খামারি বলেন, আমরা গ্রামের গরিব মানুষ। গরু লালন পালন করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকি। অনেকের একমাত্র সম্বল বলতে গরু। এগুলো চুরি হয়ে গেলে আমরা নিঃস্ব হয়ে যাই।
কুরবানির ঈদকে সামনে রেখে পুঠিয়ার খামারিরা গরুর পরিচর্যা কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এসময় গরু চোরেরা সংঘবদ্ধ হয়ে গরু চুরি করে থাকে। এসব চোরদের সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন একাধিক খামারি।
এব্যাপারে পুঠিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ ফারুক হোসেন বলেন, গরু চুরি রোধে রাতের বেলা আমাদের পুলিশের টহল বৃদ্ধি করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চোরদের ধরতে গোয়েন্দা তৎপরতা চলছে।
বিএ/