রাজধানীর পিলখানা ট্রাজেডির একযুগ পূর্ণ হচ্ছে আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি)। হত্যা মামলাটি দীর্ঘ সময় বিচারিক আদালত ও হাইকোর্টে শেষ হয়েছে। তবে বিস্ফোরক আইনে হওয়া মামলা এখনও ঝুলে আছে।
ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল ট্রাইব্যুনালের বিচারক কেএম ইমরুল কায়েশ বকশীবাজার আলিয়া মাদরাসা মাঠের আদালতে এ মামলার বিচারকাজ পরিচালনা করেন। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি সর্বশেষ ধার্য তারিখে পাঁচজন আদালতে সাক্ষ্য দেন। আগামী ২৩ ও ২৪ মার্চ মামলায় পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য রয়েছে। ইতোমধ্যে রাষ্ট্রপক্ষের এক হাজার ৩৪৫ জন সাক্ষীর মধ্যে এ পর্যন্ত সাক্ষী দিয়েছেন ১৮৫ জন।
দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও মামলাটি শেষ করতে যথাযথ তৎপরতা নেই রাষ্ট্রপক্ষের, এমন অভিযোগ করেছেন আসামিপক্ষ। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী দাবি করেছেন, সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে। এ বছরের মধ্যেই মামলার বিচারকাজ শেষ হবে।
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি বিডিআরের বিদ্রোহী জওয়ানরা নারকীয় তাণ্ডব চালায় পিলখানায়। তাদের হাতে প্রাণ হারান ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন। বিডিআর বিদ্রোহের পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি ও সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে আরেকটি তদন্ত আদালত গঠন করা হয়। দুই কমিটির প্রতিবেদনে বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনার বিচার সেনা আইনে করার সুপারিশ করা হলেও উচ্চ আদালতের মতামতের পর সরকার প্রচলিত আইনেই এর বিচার করে।
বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় দুটি ফৌজদারি মামলা করা হয়। এর একটি ছিল হত্যা মামলা আর অন্যটি বিস্ফোরক আইনের মামলা। খুনের মামলায় ৮৫০ জনের বিচার শেষ হয় ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর। এতে ১৫২ জনের ফাঁসি, ১৬০ জনের যাবজ্জীবন ও ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আর ২৭৮ জন খালাস পান। এ মামলায় ২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর হাইকোর্টের আপিলের রায় হয়।
জেএন