খবর ২৪ ঘণ্টা ডেস্ক: ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের ব্যারাকপুর অঞ্চলে বিরোধীদল বিজেপি এবং ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে ১৭ বছরের কিশোরসহ কমপক্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ছয় পুলিশকর্মীসহ আহত হয়েছেন আরো নয়জন। তাদের মধ্যে তিনিজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, দীর্ঘক্ষণ ধরে গুলি বিনিময় আর বোমাবাজি চলার পর উত্তেজনা কমাতে ভাটপাড়া আর জগদ্দল এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, ভাটপাড়ায় বৃহস্পতিবার একটি নতুন থানা উদ্বোধন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই শুরু হয় বোমাবাজি ও গোলাগুলি। এ অবস্থায় ওই এলাকার সব দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। রাস্তা থেকে উধাও হয়ে যায় গাড়ি। একশো চুয়াল্লিশ ধারা জারি হওয়াযর পর রাস্তাঘাট এখনও জনশূন্য
বৃহস্পতিবার দুপুরে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠা কাঁকিনাড়ার কাছারি রোডে গুলিতে নিহতরা হলেন রামবাবু সাউ (১৭) এবং ধর্মবীর সাউ (৪০) নামে দুই ফুচকা বিক্রেতা। সেই গুলি কারা চালিয়েছে, তা নিয়ে পুলিশ ও বিজেপির চাপান-উতোর শুরু হয়েছে।
লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই ভাটপাড়া-কাঁকিনাড়া এলাকায় অশান্তি বেড়ে চলেছে। গত এক মাসে এমন একটি দিনও যায়নি, যে দিন কাঁকিনাড়া-ভাটপাড়ায় বোমাবাজি হয়নি। ভোটের ফলপ্রকাশের পর থেকে এ পর্যন্ত ভাটপাড়া-কাঁকিনাড়ায় সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন পাঁচজন। এত দিন ধরে দুই এলাকার বাজারও কার্যত বন্ধ রয়েছে।
এ ঘটনার জেরে রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ মহলও নড়েচড়ে বসেছে। বৃহস্পতিবার রাতে ভাটপাড়া-কাঁকিনাড়ায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। সন্ধ্যায় সরিয়ে দেওয়া হয় ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার তন্ময় রায়চৌধুরীকে। নতুন পুলিশ কমিশনার হিসেবে আসেন মনোজ বর্মা। এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) সঞ্জয় সিংহকে বিশেষ তদারকির (এডিজি ইন-চার্জ) ভার দিয়ে পাঠানো হয়। র্যাফ এবং অন্যান্য বাহিনী রুটমার্চ করে।
রাতে উত্তর ২৪ পরগণার জেলাশাসকের দফতর থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গুজব ঠেকাতে বসিরহাট, বনগাঁ এবং ব্যারাকপুর মহকুমায় ইন্টারনেট-পরিষেবা বন্ধ রাখা হচ্ছে। তবে দমদম এবং বিমানবন্দর থানা এলাকায় এই নির্দেশ বলবৎ হবে না।
সূত্র: বিবিসি/ আনন্দবাজার
খবর২৪ঘণ্টা, জেএন