খবর২৪ঘন্টা নিউজ ডেস্ক: রাজধানীর ধানমন্ডির পপুলার হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয়, প্রতিবাদ করায় মরদেহ বাইরে ফেলে দেওয়া হয়েছে। রোগীর স্বজনরা জানান, ভুল চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুর পর তাদের হাতে উল্টো ৪ লাখ টাকা বিল ধরিয়ে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তবে সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
রোগীর স্বজনদের অভিযোগ, বিল দেওয়ার আগ পর্যন্ত মৃতদেহ আটকে রাখা হয়। বিল পরিশোধের পর মৃত্যুর কারণ নিয়ে প্রশ্ন তুললে মরদেহ গেটের বাইরে ফেলে যাওয়া হয়।
১৫ জুলাই শারীরিক সমস্যা নিয়ে ধানমন্ডির পপুলার হাসপাতালে ভর্তি হন নারায়নগঞ্জের হাজী রওশন আলী সরকার। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, রোগীর করোনা পজিটিভ এসেছে এবং অক্সিজেন লেভেলও কম।
ওই দিনই তাকে আইসিইউতে নেয়া হয়। কিন্তু পরিবারের সদস্যদের সন্দেহ হলে তারা অন্য হাসপাতালে রোগীর করোনা পরীক্ষা করান। সেখানে রেজাল্ট নেগেটিভ আসে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানানো হলে বিষয়টি আমলে নেননি। নয়দিন পর ২৪ জুলাই রাতে রওশন আলীকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। আর পরিবারের কাছে ৪ লাখ টাকার বিল ধরিয়ে দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগীর স্বজনদের সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলছে, তাদের কোনো গাফিলতি ছিল না।
পপুলার হাসপাতাল মেডিকেল অফিসার শহীদুল ইসলাম বলেন, তার নিউমোনিয়া হয়েছে। নিউমোনিয়ার আমরা কি ট্রিটমেন্ট দেই? অ্যান্টিবায়োটিক দেয়ার পর অক্সিজেল লেভেলও বাড়িয়েছি। সব করেছি।
এ ব্যাপারে খুব শিগগিরই আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানান রোগীর স্বজনরা।
খবর২৪ঘন্টা/নই