সবার আগে.সর্বশেষ  
ঢাকাবুধবার , ৬ ডিসেম্বর ২০১৭
আজকের সর্বশেষ সবখবর

নৌ পথ খননে প্রাণ ফিরছে অভ্যন্তরীণ ১১ রুটে

অনলাইন ভার্সন
ডিসেম্বর ৬, ২০১৭ ৫:৫০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

খবর২৪ঘণ্টা.কম,ডেস্ক: সুয়েজ খাল খ্যাত বরিশালের সাহেবের হাট চ্যানেলে প্রাণ ফিরে আসছে। অভ্যন্তরীণ ১১ রুটের নৌযান চলাচলের জন্য এ চ্যানেলের ১২ কিলোমিটার নৌ পথ খননের উদ্যোগ নিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ।

ড্রেজিং বিভাগ জানিয়েছে, ইতোমধ্যে প্রায় ৯ লাখ ঘনমিটার খনন কাজ শেষ হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, সাহেবেরহাট চ্যানেল নৌযান চলাচলের জন্য স্বাভাবিক হলে এ রুটের হাজারো মানুষের ১ ঘন্টা সময় সাশ্রয় হবে।

বিআইডব্লিউটিএ’র ড্রেজিং বিভাগের উপ সহকারী প্রকৌশলী মাসুদ রানা বলেন, বরিশালের সাহেবের হাট চ্যানেলের প্রায় ১০ কিলোমিটার অংশের খনন কাজ চলছে। ইতোমধ্যে ৯ কিলোমিটার পথ খনন শেষ হয়েছে।

তিনি বলেন, এ চ্যানেল খননে প্রায় ৯ লাখ ঘনমিটার বালি ও মাটি কাটার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ নৌবাহিনীর অধীনে ডক ইয়ার্ড এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্ক লিমিটেড এ খনন কাজ চালাচ্ছে।

প্রকৌশলী মাসুদ রানা বলেন, যেভাবে চ্যানেলটি খনন হয়েছে সে অনুযায়ী এখন অনেকাংশে যাত্রীবাহী ও পান্যবাহী নৌযানের চলাচল সহজ হয়েছে। এ চ্যানেলে ১০ ফিট পানি থাকবে।

বরিশাল-ভোলা নৌ পথের এম এল সঞ্চিতা লঞ্চের চালক মশিউর রহমান মশু বলেন, পাকিস্তান আমল থেকে এ চ্যানেলে নৌযান চলে আসছে। প্রায় ১১ থেকে ১২টি অভ্যন্তরীন রুটে এখান থেকে নৌযান আসা যাওয়া করে। বিশেষ করে পাতারহাট, মেহেন্দীগঞ্জ, ভোলা, কালাইয়া, লালমোহন, ঘোষেরহাট, চরকলমি, বাউফলে এক সময় যাতায়াতের জন্য এ চ্যানেল সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় ছিল। কিন্তু বরিশালের সুয়েজ খাল খ্যাত গুরুত্বপূর্ন এ চ্যানেলটি কখনওই টেকসইভাবে খনন করা হয়নি। যে কারণে জোয়ারের জন্য অপেক্ষা করতে হত লঞ্চ ও কার্গো চালকেদের।

বরিশালের রাজনীতিবিদ আনোয়ারুল হক তারিনের গ্রামের বাড়ি ভোলা। সেই সুবাদে ভোলায় নিয়মিত যাতায়াতকারী তারিন বলেন, সাহেবের হাট একটি ঐতিহ্যবাহী চ্যানেল। বরিশাল-ভোলার প্রধান নৌ পথ এটি। বর্ষায় অনেক যাত্রীবাহী ও পণ্যবাহী নৌযান চলে এ রুটে। এখনও এ চ্যানেল থেকে ভোলায় ২২টি লঞ্চ আসা যাওয়া করে। চ্যানেলটি স্বাভাবিক না থাকলে চরমোনাই ঘুরে প্রায় ১ ঘন্টা বিলম্বে গন্তব্যে পৌছাতে হয়।

তিনি বিআইডব্লিউটিএ’র খনন এর উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, খনন ঠিকভাবে না হলে ফের দুর্ভোগে পড়তে হবে। মেঘনা ঘেরা মেহেন্দিগঞ্জের এক বাসিন্দা বলেন, তিনি সাহেবের হাট চ্যানেল ব্যাপকভাবে খনন চলেছে। এখন অনেকটা স্বাভাবিকভাবে নৌযান চলাচল করতে পারে। এর আগে শুকনো মৌসূম এলেই অনেক পথ ঘুরে যেতে হত। এ জন্য আধা ঘন্টা থেকে ১ ঘন্টা সময় অপচয় হত।

বরিশাল অভ্যন্তরীন লঞ্চ মালিক সমিতির সভাপতি আজিজুল হক আক্কাস সাংবাদিকদের বলেন, স্বাধীনতার পর এই প্রথম ব্যাপকভাবে সাহেবেরহাট চ্যানেলের ড্রেজিং শুরু হয়েছে। এর খনন কাজ মানসম্পন্ন না হলে কোন কাজে আসবে না।

এব্যপারে বিআইডব্লিউটিএ’র বরিশাল নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপ পরিচালক আজমল হোসেন মিঠু সরকার বলেন, বরিশাল-ভোলা রুটের এ চ্যানেলটিকে বুখাইনগর কিংবা সাহেবের হাট চ্যানেল বলা হয়। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন চ্যানেল হওয়ায় দীর্ঘ দিনপর চলতি বছরের ৩০ মার্চ চ্যানেলটি খননের উদ্যোগ নিয়েছে ড্রেজিং বিভাগ। এটি খননের টার্গেট ধরা হয়েছে দেড় বছর।

তিনি বলেন, চ্যানেলটি সচল রাখা হলে বরিশাল-ভোলাসহ বিভিন্ন রুটে যাত্রীবাহী ও মালবাহী নৌযানের যাতায়াত একদিকে যেমন সহজ হবে তেমনি সময়ও সাশ্রয় হবে।

খবর২৪ঘণ্টা.কম/রখ

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।