খবর ২৪ ঘণ্টা ডেস্ক: ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যার ঘটনায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন আসামি মহিউদ্দিন শাকিল।
মঙ্গলবার (৭ মে) বিকেলে ফেনীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসাইনের আদালতে আসামি মহিউদ্দিন ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
জবানবন্দি শেষে সন্ধ্যায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) স্পেশাল পুলিশ সুপার মো. ইকবাল সাংবাদিকদের তাদের জবানবন্দির ব্যাপারে ব্রিফ করেন।
এ সময় তিনি বলেন, আসামি মহিউদ্দিন আদালতে বলে, হত্যা চেষ্টার ঘটনার দিন সে সাইক্লোন শেল্টারের সিঁড়ি পাহারার দায়িত্বে ছিল। যাতে কেউ ছাদে উঠতে না পারে ও কিলিং মিশনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে না পারে। এছাড়া নুসরাত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সব ধরনের পরিকল্পনা হয়েছে সব বিষয়ে সে জানতো।
এর আগে ২ মে (বৃহস্পতিবার) আসামি শাকিলকে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইনের আদালতে তোলা হলে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. শাহ আলম। আদালত মহিউদ্দিনের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
২৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার বিকেলে ফেনী শহরের উকিলপাড়া এলাকা থেকে শাকিলকে গ্রেফতার করা হয়। শাকিল সোনাগাজীর চর চান্দিয়া গ্রামের রহুল আমীনের ছেলে। সে নুসরাত জাহান রাফির সহপাঠী। আসামি শাহাদাত হোসেন শামীম ও নুর উদ্দিনের স্বীকারোত্তিমূলক জবানবন্দিতে শাকিলের নাম উঠে আসে।
গত ৬ এপ্রিল ওই মাদ্রাসায় আলিম পরীক্ষাকেন্দ্রে গেলে ভবনের ছাদে ডেকে নিয়ে নুসরাতের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যায় মুখোশধারীরা।
এর আগে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলার বিরুদ্ধে করা শ্লীলতাহানির মামলা প্রত্যাহারের জন্য নুসরাতকে চাপ দেয় তারা। পরে আগুনে ঝলসে যাওয়া নুসরাতকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১০ এপ্রিল রাতে তার মৃত্যু হয়।
শ্লীলতাহানির মামলায় আগে থেকেই কারাবন্দি ছিলেন সিরাজ উদদৌলা। এ ঘটনার পর হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী সিরাজ উদ দৌলাসহ ২১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে ১২ জন।
খবর২৪ঘণ্টা, জেএন