নাটোর প্রতিনিধি: নাটোর সদর উপজেলা যুবলীগের সহ সভাপতি মাহবুব হায়দার মিন্টুকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার (২২ আগষ্ট) রাত সাড়ে ১০টায় শহরের বঙ্গজল এলাকার ট্রমা সেন্টারের সামনে নিজ বাড়ি থেকে বের হলে তুলে নিয়ে তাকে হত্যার চেষ্টা চালায় দুর্বৃত্তরা। এসময় মিন্টুর ব্যবহৃত হোন্ডা ট্রাকসন গাড়িটি ভাংচুর করে সন্ত্রাসীরা ।আহত যুবলীগ নেতা মিন্টু শহরের উত্তর চৌকিরপাড় এলাকার মৃত মোহাম্মদ আলীর পুত্র এবং বগুড়ার ইউনিক কন্সালটেশন ফার্মের ব্যবস্থাপক ।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মিন্টু সাংবাদিকদের জানান, তিনি বৃহস্পতিবার বগুড়া থেকে নাটোর বাড়িতে আসেন । পরিবারের সদস্যদের সাথে দেখা করে ঢাকা যাওয়ার উদ্দেশ্য বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০ টায় বাসা থেকে বের হলে স্থানীয় সন্ত্রাসী সুমন ও বাবুর নেতৃত্বে ২০/২৫ জনের একদল অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী তাকে জিম্মি করে বাড়ির পাশে ট্রমা সেন্টারের সামনে নিয়ে যায়। সেখানে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। এ সময়
আমাকে বাঁচাতে এসে সুমন নামের এক যুবক মারপিটের স্বীকার করা হয় । সন্ত্রাসীরা আমার ব্যবহৃত গাড়িটি ভাংচুর করে এবং নগদ টাকা, মোবাইল,চেক বই নিয়ে যায় ।
তিনি বলেন, এ সময় আমার চিৎকারে আশপাশের লোকজন জড়ো হতে থাকেন। এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থল থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় আমায় নাটোর আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে আসে। স্থানীয় সন্ত্রাসী বাবু ও সুমন র্দীঘদিন ধরে চাঁদা দাবী করে আসছিল ।
অভিযুক্ত স্বেচ্ছাসেবক নেতা বাবু ও যুবলীগ কর্মী সুমন জানান, মিন্টুর নেতৃত্বে ইতিপূর্বে সাব্বির বাহিনী সুমনের হাতের রগ কেটে দেয় এবং বাবুর দুই পা ভেঙ্গে দেয় । তারপরও তাকে মিন্টুকে কিছু বলেনি । মিন্টু হত্যার চেষ্টার ঘটনায় তারা জড়িত নয় । এটা ষড়যন্ত্র ।
এ ব্যাপারে সদর থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে
খবর২৪ঘণ্টা, জেএন