নাটোর প্রতিনিধি :
নাটোরে ভুয়া প্রশ্নপত্র ফাঁসকারি চক্রের ২ সদস্যসহ ৮জনকে বিভিন্ন মেয়াদে অর্থ দন্ড দিয়েছে র্যাবের ভ্রম্যামান আদালত। নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার মশিন্দা মাধ্যমিক বিদ্যালয় এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ভুয়া প্রশ্নপত্র ফাঁসকারী চক্রের সদস্য মশিন্দা চরপাড়া গ্রামে আসামী ১। মোঃ আবু তাহের (১৮), পিতা-মোঃ জহুরুল ইসলাম, মশিন্দা মাঝপাড়া গ্রামের ২। মোঃ শিহাব উদ্দিন (২২), পিতা- মোঃ সাইদুর ইসলাম। তাদের উভয়ের কাছে ০৪ টি মোবাইল ফোন, ফেইসবুক মেসেঞ্জার এর কথোপকথোন এর স্ক্রীন শর্ট ২১৯ (দুইশত উনিশ) টি ও ০৫ (পাঁচ) টি সিম কার্ড ও ০২ (দুই) মেমোরী কার্ড সহ গ্রেফতার করা হয়। এছাড়াও আরো ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়। নাটোর র্যাব-৫ (সিপিসি-২) অফিসার কোম্পানী
কমান্ডার অতিঃ পুলিশ সুপার মোঃ যায়েদ শাহ্্রীয়ার জানায় ,সোমবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গুরুদাসপুরে বিভিন্ন এলাকায় তথ্য ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে অভিযান পরিচালনা করেন গুরুদাসপুর উপজেলার মশিন্দা মাধ্যমিক বিদ্যালয় এলাকায় থেকে ভুয়া প্রশ্নপত্র ফাঁসকারী চক্রের ৮জন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। এসময় তাদের কাছে থেকে ০৪ টি মোবাইল ফোন, ফেইসবুক মেসেঞ্জার এর কথোপকথোন এর স্ক্রীন শর্ট ২১৯ (দুইশত উনিশ) টি ও ০৫ (পাঁচ) টি সিম কার্ড ও ০২ (দুই) মেমোরী কার্ড উদ্ধার করা হয় ।আটককৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, মিথ্যা প্রশ্নপত্র ফাঁসকারী চক্রের সক্রিয়
সদস্য এবং বিকাশের মাধ্যমে প্রতারনামুলক টাকা নেওয়ার কৌশল করিয়াছেন। আটককৃত মোঃ আবু তাহের (১৮) তার ব্যবহৃত মোবাইলে ফেইসবুক মেসেঞ্জার এর মাধ্যমে ছদ্ম নাম অৎরভ জধল ইউ আইডি হতে ঝঝঈ ধষষ ইড়ধৎফ ৬ঃয, ইউ করষষবৎং ঞবধস-২০১৯ এবং এসএসসি মেসেঞ্জার গ্রুপের মাধ্যমে অনিক, হাসান, আজাদ, কাওসার, তন্নি, সজিব, নয়নদেরকে চলমান এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র টাকার বিনিময়ে দিবে মর্মে কথোপকথোন করেন। ডিজিটাল নিরাপত্তা অপরাধে আইন ২০১৮ সালের এর ২৩(২) ধারায় নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।
কোম্পানী কমান্ডার অতিঃ পুলিশ সুপার মোঃ যায়েদ শাহ্্রীয়ার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ মনির হোসেন গুরুদাসপুর এর যৌথ নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনায় মশিন্দা বাহাদুর পাড়ার ১। মোঃ ইদ্রিস আলী, পিতা- মৃত সেকেন্দার আলী, গুরুদাসপুর এলাকার মশিন্দা চরপাড়ার ২। মোঃ হারুন অর রশিদ, পিতা- মোঃ বজলুর রহমান, ৩। মোঃ শাকিল আহম্মেদ, পিতা-মোঃ আনাম আহম্মেদ, ৪। মোঃ শাহিন আহম্মেদ, পিতা-মোঃ আনাম আহম্মেদ, ৫। মোঃ আজিজুল হক, পিতা-মোঃ রেজাউল করিম, ৬। মোঃ আজাদ আলী, পিতা- মোঃ ইদ্রিস আলীকে পাবলিক পরীক্ষা নিয়ন্ত্রন আইন ১৯৮০ এর ১১ ধারায় গ্রেফতার দেখানো হয়। পরে ভ্রাম্যমান আদালতের নির্দেশে ০১ নং আসামীতে ২০,০০০/- (বিশ হাজার) টাকা, ০২ নং আসামীকে ১০,০০০/- (দশ হাজার) টাকা, ০৩ নং হতে ০৬ নং আসামীকে প্রত্যেকের ৫,০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকা করে সর্ব মোট ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকা জরিমানা করেন।
খবর ২৪ ঘণ্টা/আর
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।