নাটোর প্রতিনিধি:নাটোরের সিংড়ায় প্রেমিকের সাথে পালিয়ে যাবার টাকার অভাবে নিজের মামাতো বোন জুঁইকে হত্যা করেছে প্রেমিকা সুরজিনা খাতুন (১৯)। বাড়ির অদূরে একটি বিল হতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় লাশ উদ্ধার করা হয়। জুইকে পানিতে চুবিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারনা করছে পুলিশ। এসময় তাঁর কানে থাকা দু আনি স্বর্ন এবং নাকফুল নেয় খুনি সুরজিনা।
তবে সুরজিনা কথিত প্রেমিকের পরিচয় জানা যায়নি এখনো।
নিহত জুই উপজেলার ছাতারদিঘী ইউনিয়নের রামনগর গ্রামের হারেজ আলীর কন্যা। সে পাচুপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেনীর ছাত্রী ছিলো।
এদিকে বৃহস্পতিবার বিকেলে পালিয়ে যাবার পথে সিংড়া বাসস্ট্যা›ড থেকে সুরজিনাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। শুক্রবার দুপুরে তাকে নাটোর জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে নাটোর সদর অধুনিক সদর হাসপাতালে মর্গে প্রেরন করেছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকাল ৮ টার দিকে রামনগর গ্রামে প্রতিবেশী এবং সম্পর্কে মামাতো বোন জুঁই কে ভূলিয়ে বাকাই বিলে গোবর কুড়াতে নিয়ে যায় সারজিনা। দুপুরে জুই এর বাবা হারেজ তাঁর স্ত্রীকে জুঁই কোথায় বললে সে জানায় সারজিনার সাথে বের হয়ে গেছে। জুই এর মা সারজিনার বাড়িতে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন তারা কেউ বাড়িতে ফিরেনি। পরে তারা বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করতে থাকেন।
এসময় খবর পান সারজিনা ভ্যানে করে একা চলে যেতে দেখে স্থানীয়রা। পরে নিহতের বাবা সহ প্রতিবেশীরা বিলে খোঁজ করতে গিয়ে মেয়ের গামছা দেখতে পান।
সেখানেই তাঁর লাশ খুঁজে পান স্বজনরা। এদিকে ঘটনা জানাজানি হলে সিংড়া বাসস্্যান্ড এলাকা হতে আটক করা হয় সুরজিনা কে। এ বিষয়ে সিংড়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী অফিসার এসআই পলাশ জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর অধুনিক সদর হাসপাতালে মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে হত্যার কথা স্বীকার করেছে সুরজিনা। এতে প্রেমিকের সাথে পালিয়ে যাবার অর্থের কারনে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। তবে কোর্টে জবানবন্দী রেকর্ড করা হবে।
সিংড়া থানার ওসি মনিরুল ইসলাম ও ঘটনার সত্যতা স্বীকার জানান, দোষী সুরজিনা বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
খবর২৪ঘণ্টা, জেএন