
নাটোর প্রতিনিধি: 
নাটোরের  বড়াইগ্রাম উপজেলার  কয়েনবাজার এলাকায় ইজহারুল ইসলামের বাড়ির লোকদের মাথায়  আঘাতের পর টাকা, স্বর্ণালংকার ও মোবাইল ফোন ডাকাতর করা হয়। মোবাইল ফোনটি  নষ্ট করেও রক্ষা পেল না আন্তজেলা ডাকাতদল। দীর্ঘ দুইমাস প্রাণপন যৌথ  প্রচেষ্টায় ৮ জনের আসামীর ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ইতোমধ্যে তারা  স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে।
বুধবার দুপুরে পুলিশ সুপারের  কার্যলয়ে এক প্রেসব্রিফিংয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সুপার লিটন কুমার  সাহা। এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আকরামুল ইসলাম, বড়াইগ্রাম সার্কেল এসপি  হারুনার রশিদ ,বড়াইগ্রাম থানার ওসি দিলীপ কুৃমার দাস,সদর থানার ওসি
কাজী  জালাল উদ্দিন ও  ডিবি ওসি সৈকত হাসান উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশ সুপার লিটন  কুমার সাহা জানান, গত ৭আগষ্ট রাতে একদল সশস্ত্র ডাকাত বড়াইগ্রামের কয়েন  বাজার এলাকার ইজাহারুলের বাড়িতে তিনটি দরজা ভেঙ্গে প্রবেশ করে। এসময় বাড়ির  মহিলাসহ কয়েকজনকে দেশী অস্ত্র দিয়ে মাথায় আঘাত করে নগদ ৩০ হাজার টাকা, ৬ভরি  স্বর্ণালংকার ও একটি মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। এঘটনায় মামলা দায়ের হলে পুলিশ ও  গোয়েন্দা সংস্থা মাঠে নামে। এক পর্যায়ে সাত ডাকাতকে গ্রেফতারের পর ডাকাতি  কাজে ব্যাবহৃত দেশীয় অস্ত্র,শাবল ইত্যাদী উদ্ধার করে। এঘটনায় আদালতে তারা  স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়ে বলেছে, গ্রেফতারের ভয়ে তারা মোবাইল ফোনটি  পানিতে ফেলে দেয়।
গ্রেফতারকৃতরা হল বড়াইগ্রামের নগর ইউনিয়নের মকিমপুরের  রুস্তম আলীর ছেলে আতাহার আলী(২৮),লালপুর উপজেলার কদমচিলান এলাকার মেহেরের  ছেলে কামরুল(৩২),মাজেমের ছেলে শহীদ(৩৫),নাজিরের ছেলে আজাদুল(২৯), আমজাদের  ছেলে মিনারুল(৩৪),কদিমচিলান মধ্যপাড়ার সোবহানের ছেলে সুমন(৩০) এবং আবুলের  ছেলে জাহাঙ্গীর(৩২)।
স্বর্ণালংকার বিক্রি এবং নগদ টাকা তারা ভাগ করে নিয়েছে বলে স্বীকার করেছে।
এস/আর
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।