1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
ধর্ষণের শিকার নারীর টু ফিঙ্গার টেস্ট নিষিদ্ধ - খবর ২৪ ঘণ্টা
সোমবার, ১৩ জানয়ারী ২০২৫, ১১:১৭ অপরাহ্ন

ধর্ষণের শিকার নারীর টু ফিঙ্গার টেস্ট নিষিদ্ধ

  • প্রকাশের সময় : বৃস্পতিবার, ১২ এপ্রিল, ২০১৮
khobor24ghonta.com

খবর২৪ঘণ্টা.কম, ডেস্ক: ধর্ষণের শিকার নারীর ক্ষেত্রে টু ফিঙ্গার টেস্ট পদ্ধতির প্রয়োগ নিষিদ্ধ করেছেন হাইকোর্ট। এ ক্ষেত্রে ধর্ষণের শিকার নারীর পরীক্ষার ক্ষেত্রে সরকার ঘোষিত হেলথ কেয়ার প্রটোকলের উল্লেখ পদ্ধতি অনুসরণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি ধর্ষণ মামলার বিচার চলাকালে আইনজীবীরা নারীর প্রতি অমর্যাদাকর কোনো প্রশ্ন করতে পারবেন না বলেও আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত রুল নিষ্পত্তি করে বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি এ কে এম সাহিদুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
রায়ে বলা হয়, ধর্ষণের শিকার নারীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার ক্ষেত্রে ‘টু ফিঙ্গার টেস্ট’ পদ্ধতির প্রয়োগ করা যাবে না। তাছাড়া, ধর্ষণের শিকার নারীর পরীক্ষার সময় নারী চিকিৎসক, নারী পুলিশ সদস্য, ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ ও নারী নার্সের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে।

হাইকোর্টের নির্দেশনাটি সংশ্লিষ্ট আইনজীবী, চিকিৎসক, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক, প্রসিকিউটরকে কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সারা হোসেন ও শারমিন আক্তার। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ এস এম নাজমুল হক।

আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার সারা হোসেন। এর আগে ২০১৬ সালে এ পদ্ধতিকে ‘সেকেলে ও অনৈতিক’ বলে হাইকোর্টে মৌখিকভাবে মতামত উপস্থাপন করেছেন পাঁচ ফরেনসিক মেডিকেল বিশেষজ্ঞ।

এর আগে ২০১৬ সালে এ পদ্ধতিকে ‘সেকেলে ও অনৈতিক’ বলে হাইকোর্টে মৌখিকভাবে মতামত উপস্থাপন করেছেন পাঁচ ফরেনসিক মেডিকেল বিশেষজ্ঞ।
বিশেষজ্ঞরা আদালতে বলেন, ‘এ পদ্ধতি সেকেলে। যৌন নির্যাতনের পরীক্ষার আধুনিক অনেক পদ্ধতি আবিস্কার হয়েছে।’

হাইকোর্টে মৌখিকভাবে মতামত দিয়েছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের সাবেক প্রধান ডা. হাবিবুজ্জামান চৌধুরী, একই হাসপাতালের ন্যাশনাল ফরেনসিক ডিএনএ প্রোফাইল ল্যাবরেটরির প্রধান ডা. সাফিউর আখতারুজ্জামান, মিরপুরের ডেল্টা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. জাহিদুল করিম আহমেদ, বারডেম হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিনের প্রফেসর ডা. গুলশান আরা এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অ্যাসোসিয়েশন অব ল’, মেডিসিন অ্যান্ড সায়েন্সের ভাইস প্রেসিডেন্ট মুজাহিরুল হক।

সনাতন পদ্ধতিতে (দুই আঙ্গুলের মাধ্যমে পরীক্ষা) ধর্ষণের পরীক্ষা করার কারণে অনেক ভিকটিম পরীক্ষা করতে আসেন না। আর এ কারণে অনেকে ধর্ষিত হয়েও বিচার পান না। ভারতে এ পদ্ধতি বাতিল করা হয়েছে।

নতুন পদ্ধতি প্রবর্তন করার জন্য এ আবেদন করা হয়েছে। যাতে সঠিক পরীক্ষার পর ভিকটিমরা সুবিচার পান। এসব বিষয় নিয়ে ২০১৩ সালের ৮ অক্টোবর মানবাধিকার সংগঠন বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট), আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক), বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, ব্র্যাক, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন, নারীপক্ষ এবং ডা. রুচিরা তাবাচ্ছুম ও ডা. মোবারক হোসেন খান রিট আবেদনটি দায়ের করেন।

ওই রিটের ওপর জারি করা রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে আদালত রায় ঘোষণা করেন।

খবর২৪ঘণ্টা.কম/রখ

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST