1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
ধর্ষকের কথায় কিশোরীর গর্ভপাত - খবর ২৪ ঘণ্টা
বধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:২২ অপরাহ্ন

ধর্ষকের কথায় কিশোরীর গর্ভপাত

  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ১০ মারচ, ২০২০

খবর২৪ঘন্টা নিউজ ডেস্ক: কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের মীরপুর গ্রামে ধর্ষণের শিকার ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক কিশোরীকে জোরপূর্বক গর্ভপাত করানোর অভিযোগ উঠেছে সরকারি হাসপাতালের দুই স্বাস্থ্যকর্মীর বিরুদ্ধে। ওই কিশোরী বর্তমানে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে।

এ ঘটনায় গত ৮ মার্চ ওই কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে ধর্ষণ, অপহরণ, জোরপূর্বক গর্ভপাত করানো, ভয়-ভীতি প্রদর্শন ও সহায়তা করার অপরাধে কুমারখালী থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় মুন্নু ওরফে মুস্তাক, তার ভাই মানিক (৪০), রশিদ (৫৬), শুকুর (৪৯) ও বোন মনোরা খাতুনকে (৩৩) আসামি করা হয়েছে। তবে গর্ভপাতে সহযোগিতাকারী খোকসা উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসের পরিবার কল্যাণ সহকারী আরেনা খাতুন ভরসা ও খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়ার স্টাফ নার্স শেফালী বেগমকে অজ্ঞাত কারণে এই মামলার আসামি করা হয়নি।

ওই কিশোরীর বাবার লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, তিনি দুই সন্তান ও পরিবারের খরচ যোগাতে ঢাকায় সিএনজি অটোরিকশা চালান। গত বছরের ২৬ জুলাই ওই কিশোরীর মা জরুরি কাজে তাদের এক নিকট আত্মীয়ের বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। ফাঁকা বাড়িতে একা পেয়ে প্রতিবেশী দুই সন্তানের বাবা মুন্নু ওরফে মুস্তাক (৩০) ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে।

হাসপাতালের বিছানায় মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়া ওই কিশোরীর অভিযোগ, ওই দিন ধর্ষণের পর প্রতিবেশী মৃত মতালেব জোয়ার্দ্দারের ছেলে মুন্নু ওরফে মুস্তাক তাকে হুমকী দেয় এই কথা তার বাবা মা বা কারো কাছে বললে তাকেসহ তার পরিবারের সদস্যদের মেরে ফেলা হবে। ভুক্তভোগী কিশোরী বিষয়টি কাউকে বলেছে কিনা মুন্নু সেই খোঁজ খবরও নিতে থাকে এবং নানা হুমকী ধামকী দিয়ে দিনের পর দিন তাকে ধর্ষণ করতে থাকে। এক পর্যায়ে ওই কিশোরী গর্ভবতী হয়ে পড়ে।

প্রথম দিকে বিষয়টি কিশোরী বা তার পরিবারের লোকজন বুঝতে না পারলেও তার শারীরিক পরিবর্তন দেখে পরিবারের লোকজনের সন্দেহ হয়। বিষয়টি নিশ্চিত হতে চলতি মার্চ মাসের ৩ তারিখে একটি বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে নিশ্চিত হওয়া যায় কিশোরী ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। পরিবারের সদস্যদের চাপে ওই কিশোরী ঘটনা খুলে বলে। বেরিয়ে আসে রোমহর্ষক কাহিনী।

ঘটনা জানাজানি হওয়ার পরদিন ভুক্তভোগী ওই কিশোরীকে তার বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে যায় অভিযুক্ত মুন্নু ওরফে মুস্তাক, তার ভাই মানিক (৪০), রশিদ (৫৬), শুকুর (৪৯) ও আসামির বোন মনোরা খাতুন (৩৩)। তুলে নিয়ে খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে একটি বেসরকারি ক্লিনিকে নিয়ে ওই কিশোরীর গর্ভপাত ঘটান।

এই গর্ভপাতে সহযোগিতা করেন খোকসা উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসের পরিবার কল্যাণ সহকারী আরেনা খাতুন ভরসা ও খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়ার স্টাফ নার্স শেফালী বেগম। ধর্ষক মুন্নু ওরফে মুস্তাক ও তার ভাইবোনের সঙ্গে আরেনা খাতুন ভরসা ও শেফালী বেগম ২ লাখ টাকার চুক্তিতে ওই কিশোরীর গর্ভপাত ঘটান।

গর্ভপাতের ফলে ওই কিশোরী চরম অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রথমে তাকে কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

কিশোরীর গর্ভপাত ঘটনোর বিষয়টি সাংবাদিকদের কাছে স্বীকার করেন খোকসা উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসের পরিবার কল্যাণ সহকারী আরেনা খাতুন ভরসা ও খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়ার স্টাফ নার্স শেফালী বেগম। রিপোর্ট না করার জন্য তারা স্থানীয় সাংবাদিকদের বিভিন্নভাবে ‘ম্যানেজ’ করার চেষ্টাও চালান।

এদিকে ওই কিশোরীকে জোরপূর্বক গর্ভপাত করানোর ঘটনার সঙ্গে দুই স্বাস্থ্যকর্মী জড়িত থাকার বিষয়টি ফাঁস হয়ে গেলে বাঁচানোর জন্য তাদের লোকজন চরম দৌড় ঝাঁপ শুরু করেছেন। এলাকাবাসীর অভিযোগ এই দুই স্বাস্থ্যকর্মীর বিরুদ্ধে এই ধরনের অবৈধ গর্ভপাতের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। আরেনা খাতুন ভরসা ঠিক সরকারি হাসপাতালের সামনে তার নিজ বাড়িতে এনআর ক্লিনিক নামের প্রাইভেট হাসপাতাল খুলে বছরের পর বছর প্রকাশ্যে অবৈধ গর্ভপাত ঘটিয়ে আসছেন।

খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক প্রেমাংশু বিশ্বাস জানান, ন্যাক্কারজনক এই ঘটনার সঙ্গে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়ার স্টাফ নার্স শেফালী বেগম জড়িত থাকলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে প্রয়াজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডা. এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম জানান, সরকারি কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী এই ধরনের ন্যাক্কারজনক কোনো ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। দুই স্বাস্থ্যকর্মী যদি এই ঘটনার সঙ্গে সত্যিই জড়িত থাকেন তাহলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম জানিয়েছেন, ন্যাক্কারজনক এই ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে ইতিমধ্যে মামলা দিয়েছেন। অভিযুক্তদের ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। এই ঘটনার সঙ্গে আরো কেউ জড়িত থাকলে তাদেরকেও আইনের আওতায় নেওয়া হবে।

খবর২৪ঘন্টা/নই

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST