1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
দেশ ও জাতি ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মুখোমুখি: মির্জা ফকরুল - খবর ২৪ ঘণ্টা
মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:১২ অপরাহ্ন

দেশ ও জাতি ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মুখোমুখি: মির্জা ফকরুল

  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৩

দেশ ও জাতি ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মুখোমুখি জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এখন কিছুই ভালো নেই। আজকে সমাজকে সম্পূর্ণভাবে বিভক্ত করা হয়েছে। রাষ্ট্রকে ব্যর্থ বানাতে ধাক্কা দিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত কষ্টকর। কারণ আমরা যেই গণতন্ত্রের জন্য মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম সেসব গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে এরা ধ্বংস করে ফেলেছে।

আজকে এই ভয়াবহ দানবকে রুখতে না পারলে রাষ্ট্র কাঠামো ভেঙে যাবে। জাতি ও স্বাধীনতা তছনছ হয়ে যাবে।

রোববার (১৬ এপ্রিল) বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) যৌথ উদ্যোগে এই দোয়া ও ইফতার মাহফিল হয়।

বিএফইউজের সভাপতি এম আব্দুল্লাহর সভাপতিত্বে ও ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলামের পরিচালনায় আরও বক্তব্য দেন বিএফইউজের নূরুল আমিন রোকন ও ডিইউজের কাদের গণি চৌধুরী।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, যখন দেখি, সাংবাদিকরা কথা বলতে পারে, মনে হয় এখনো বুঝি কিছুটা অবশিষ্ট আছে। কিন্তু না; যখন গণমাধ্যমে লেখা ও চিত্র দেখি তখন মনে হয় না এখানেও (গণমাধ্যম) ফ্যাসিবাদের কড়ালগ্রাস আক্রমণ করেছে। আসলে ফ্যাসিবাদের শাসনতো এমনই হয়।

তিনি বলেন, আজকে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা গণবিচ্ছিন্ন সরকার হরণ করেছে। যা ইতোপূর্বে কখনোই দেখা যায়নি। এখন আর সেন্সরশিপ দেওয়ার কিছু নেই। কারণ সেল্ফ সেন্সরশিপ চলছে। কারণ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করেছে। এই আইনে অনেক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। সংগ্রামের সম্পাদক আবুল আসাদ যার অন্যতম উদাহরণ।

আমাদের অনেক তরুণ যুবককে কারাগারে দেখেছি তাদের বিরুদ্ধেও এই আইনে মামলা হয়েছে। আজকে সাংবাদিকদের বিভক্ত করা হয়েছে। গণতান্ত্রিক সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য মুক্ত গণমাধ্যম যে দরকার সেটাও নেই। প্রধানমন্ত্রী সংসদে দাঁড়িয়ে যে ভাষায় কথা বলেন তা সভ্য সমাজে কল্পনা করা যায় না।

মির্জা ফখরুল বলেন, এর মধ্যেও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান জাতিকে নতুন করে স্বপ্ন দেখাচ্ছেন। আসুন আমরা আমাদের ৩৫ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তারেক রহমানকে দেশে প্রত্যাবর্তনের জন্য একত্রে আন্দোলনে শামিল হই।

তিনি বলেন, আলেমদেরও রেহাই দেওয়া হচ্ছে না। মাসের পর মাস বছরের পর বছর তাদের জেলে ভরে রাখা হয়েছে। এমনকি হত্যা পর্যন্ত করা হয়েছে। বিএনপি নেতা চৌধুরী আলমসহ ৬ শতাধিক নেতাকর্মীকে গুম করা হয়েছে। সহস্রাধিক নেতাকর্মীকে বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যা করা হয়েছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, নতুন নতুন মিডিয়া বন্ধ করা হচ্ছে। সম্প্রতি দিনকাল বন্ধ করা হয়েছে। এসব থেকে মুক্তির জন্য আমাদের একটাই পথ সেটা হলো এই সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করে জনগণের সরকার ও নতুন পার্লামেন্ট গঠন করতে হবে। আসুন ইস্পাত কঠিন ঐক্য নিয়ে আগামী দিনের আন্দোলন সংগ্রামে এগিয়ে যাই। যারা আমাদের দেশের সবকিছুকে ধ্বংস করে ফেলেছে সেই সরকারকে যেন আমরা হটাতে পারি আল্লাহ যেন আমাদের সেই তৌফিক দেন।

ইফতার মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন- নয়া দিগন্ত সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন, সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজী, এম এ আজিজ, কামাল উদ্দিন সবুজ, সৈয়দ আবদাল আহমদ, মুহাম্মদ বাকের হোসাইন, মোস্তফা কামাল মজুমদার, ইলিয়াস খান, বিএনপির মিডিয়া সেলের জহিরউদ্দিন স্বপন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. শামসুল আলম সেলিম, অধ্যাপক ড. মো. নূরুল ইসলাম, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর এহসানুল মাহবুব যুবায়ের, এবি পার্টির মজিবুর রহমান মঞ্জুসহ বিভিন্ন রাজনীতিবিদ ও পেশাজীবী নেতারা।

বিএ/

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST