খবর২৪ঘণ্টা ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) তিন দিনের সরকারি সফর শেষে মঙ্গলবার রাতে দেশে ফিরেছেন। প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট মঙ্গলবার রাত ১২টা ৫ মিনিটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীদের নিয়ে বিমানটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ৫ মিনিটে আবুধাবি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে। সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান।
সফরকালে প্রধানমন্ত্রী সোমবার সকালে আবুধাবি ন্যাশনাল এক্সিবিশন সেন্টারের আইসিসি হলে (এডিএনইসি) ‘আবুধাবি সাসটেইনেবিলিটি উইক ২০২০’ এবং ‘জায়েদ সাসটেইনেবিলিটি প্রাইজ’ সেরিমনিতে যোগ দেন।
ডিপি ওয়ার্ল্ডের পৃথক প্রতিনিধি দল যার নেতৃত্বে ছিলেন চেয়ারম্যান সুলতান আহমেদ বিন সুলায়েম, আমিরাত জাতীয় তেল কোম্পানির (ইএনওসি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফ হুমাইদ আল ফালাসি এবং দুই শাসক পরিবারের সদস্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের শেখ আহমেদ ডালমুখ আল মকতুম এমএকে পৃথকভাবে এদিন বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর আবাস হোটেল শাংরি-লাতে সাক্ষাৎ করেন।
একই সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিশিষ্ট ব্যবসায়ীদের একটি দলও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
একইদিন প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে (আগের সমঝোতা স্মারকের সঙ্গে সংযুক্তি) আমিরাতের জাতীয় তেল কোম্পানি (ইএনওসি) এবং বাংলাদেশের বিদ্যুৎ, জ্বালানি এবং খনিজ সম্পদ বিভাগের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
পরে একই স্থানে প্রধানমন্ত্রী মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে কর্মরত ৯ বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূতকে নিয়ে দূত সম্মেলনে মিলিত হন।
মঙ্গলবার বিকেলে দাহরান ভিত্তিক সৌদি আরবের জাতীয় তেল এবং প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানি সৌদি আরামকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং এসিডব্লিউএ পাওয়ার এর চেয়ারম্যান এবং সৌদি আরবের ইউটিলিটি ডেভেলপার হোটেল শাংরি-লার দ্বিপক্ষীয় সভা কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
পরে প্রধানমন্ত্রী আবুধাবি ন্যাশনাল এক্সিবিশন সেন্টারে (হল নং ১১) জলবায়ু জনিত পদক্ষেপে নারীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা সংক্রান্ত একটি সাক্ষাৎকার পর্বেও অংশগ্রহণ করেন।
এমকে