খবর ২৪ ঘণ্টা ডেস্ক :
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা খুব হতভাগা জাতি। যে স্বপ্ন নিয়ে ১৯৭১ সালে আমরা দেশ স্বাধীন করেছিলাম, সে স্বপ্নটা ছিল একটা সুস্থ গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক সংস্কৃতি গড়ে তোলা। সুস্থ রাজনীতির বড় জিনিস হলো সহনশীলতা। ভিন্নমত থাকবে, পাশাপাশি সহনশীলতা থাকবে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে বাংলাদেশে সহনশীলতা একেবারে নেই। তিনি বলেন, দেশে এখন ছদ্মবেশী গণতন্ত্র চলছে।
আজ শুক্রবার দুপুরে ঠাকুরগাঁও শহরের কালীবাড়ি এলাকার নিজ বাসায় গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, গণতন্ত্র চাইব কিন্তু সমালোচনা শুনব না, এটা তো হওয়া উচিত না। সমালোচনা শুনতে হবে ও এ ধরনের বিষয়গুলো সহনশীলতার সঙ্গে দেখতে হবে। তাহলে সুস্থ রাজনীতির সংস্কৃতি ফিরে আসেব। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো অন্যের প্রতি শ্রদ্ধা করা, অন্যের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধা করা। এটা না থাকলে একটা রাষ্ট্রে কখনোই সুস্থ রাজনৈতিক সংস্কৃতি গড়ে তোলা সম্ভব হবে না।
ফখরুল ইসলাম বলেন, ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশে একদলীয় শাসনব্যবস্থা একবার এসেছিল। সেটার পর এখন আবার একদলীয় শাসনব্যবস্থা পুরোপুরি কার্যকর হয়ে গেছে। এখন শুধু আছে ছদ্মবেশ, কয়েকটা দলটলও আছে। এককথায় বাংলাদেশে এখন ছদ্মবেশী গণতন্ত্র চলছে।
বর্তমান বাংলাদেশে কোনো রাজনীতি নেই অভিযোগ করে ফখরুল ইসলাম বলেন, রাজনীতি তো এখন একটা দলের কাছে চলে গেছে। এ কারণে রাজনীতির ওপর সাধারণ মানুষের আগ্রহ নেই। বিশেষ করে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে সাধারণ মানুষ এখন নির্বাচন বিমুখ হয়ে গেছে। সাধারণ মানুষেরা এখন আর ভোট দিতে যায় না। এখান থেকে বোঝা যায় বাংলাদেশে কোনো রাজনীতি নেই। একদলীয় শাসনব্যবস্থা চলছে।
ঐক্যফ্রন্টে ফাটল তৈরি হয়েছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপির মহাসচিব ফখরুল ইসলাম বলেন, ঐক্যফ্রন্ট কয়েকটা দল নিয়ে গঠিত। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্যই আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলাম। নির্বাচনে কয়েকজন নির্বাচিত হয়েছেন। তার মধ্যে সুলতান মনসুর শপথ নিয়েছেন এবং মোকাব্বির খান শপথ নিয়েছেন। আপনারা দেখেছেন তাঁদের দল থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম সংসদে যাব না। সেটা উপেক্ষা করে দলের সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করে তাঁরা সংসদে গেছেন। এটার জন্য আমরা দায়ী নই। ইতিমধ্যে গণফোরাম সুলতান মনসুরকে বহিষ্কার করেছে। মোকাব্বির খানকেও বহিষ্কার করা হবে। এ বিষয়গুলোকে ওভাবে না দেখে অন্যভাবে দেখতে হবে যে দলগুলোর মধ্যে ঐক্য আছে। দলগুলোর মধ্যে ফাটল ধরার কোনো প্রশ্নই ওঠে না।’
জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান, সহসভাপতি আবু তাহের, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জাফরুল্লাহ, সদর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুল হামিদ প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
খবর ২৪ ঘণ্টা/আর