দুর্গাপুর প্রতিনিধি:
দুর্গাপুরের সুখানদিঘী গ্রামে জমিজমা সক্রান্ত জেরধরে সালিশবৈঠকে মারধোরের পর এবার প্রতিপক্ষের লোকেরা বাদিকে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠছে। এর আগে গত রোববার রাতে জমিজমা সক্রান্ত জেরধরে সালিশবৈঠকে মারপিটে মতিউর রহমান নামের এক যুবককে এলোপাতাড়ি মারপিট করা হয়। গুরুতর জখম অবস্থায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ওই ঘটনায় তার পিতা আফজাল হোসেন বাদি
হয়ে দুর্গাপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
থানায় অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার সুখানদিঘী গ্রামের আফজাল হোসেনের সাথে পারিবারিক বসতভিটা নিয়ে দীর্ঘ দিন একই এলাকার সাত্তার উদ্দিনের সাথে দ্ব›দ্ব চলছিলো। গত রোববার উভয়পক্ষ স্থানীয় লোকজন নিয়ে সালিশ বৈঠক ডাকে। রাত সাড়ে ৮টার দিকে সালিশবৈঠক চলাকালীণ সময়ে উভয়পক্ষে বাকতিন্ডায় জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে সালিশবৈঠকে আফজাল হোসেনর পুত্র মতিউরকে প্রতিপক্ষ সাত্তারের পুত্র জসিম উদ্দিন, জুয়েল রানা ও
তাদের সহযোগী সাজ্জাদ হোসেন, বিলকিস বেগম বাশের লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে জখম করে। এ সময় তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার পর থেকেই প্রতিপক্ষের লোকজন থানায় মামলা ও অভিযোগ না করতে বিভিন্ন ভাবে হুমকি-ধামকি প্রদান করে আসছে। এমনকি বাড়ি হতে বের হলেই মারধোর করা হবে বলে হুমকি দিচ্ছেন। এ বিষয়ে দুর্গাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খুরশীদা বানু কনা জানান, থানায় একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। থানার এসআই রফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। অভিযোগের সুত্রধরে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আর/এস