রাজশাহীর দুর্গাপুরে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় মেহেদী হাসান রবিন (২১) নামের এক সেনা সদস্য নিহত হয়েছে।
শনিবার(৭ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার
ঝালুকা-সায়বাড় রাস্তায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ইটবাহী ট্রলির সাথে ধাক্কা লেগে গুরুতর আহত হয় মেহেদী হাসান রবিন।
পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করে।
নিহত রবিন উপজেলার ঝালুকা খড়িয়াল পাড়া গ্রামের দিনমজুর এনামুল হকের পুত্র। রবিন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কক্সবাজার ক্যান্টনমেন্টে কর্মরত ছিলো। গত কয়েকদিন আগে ঈদের ছুটি পেয়ে বাবা-মা’র সাথে ঈদ করতে গ্রামের বাড়ি ঝালুকা গ্রামে যায় রবিন।
ঝালুকা গ্রামের ইউপি সদস্য শাহাবুদ্দিন মোল্লা জানান, শনিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে মোটরসাইকেল চালিয়ে উপজেলা সদরে যাচ্ছিল রবিন। পথিমধ্যে ঝালুকা ও সায়বাড় গ্রামের মাঝামাঝি পাকা রাস্তায় একই অভিমুখী ইটবাহী একটি ট্রলিকে ওভারটেক করার সময় মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ছিটকে পড়ে ট্রলির সাথে ধাক্কা লেগে গুরুতর আহত হয় রবিন।
পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্মরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে মস্তিষ্কে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
ইউপি সদস্য শাহাবুদ্দিন মোল্লা আরও বলেন, নিহত রবিনের পিতা এনামুল হক পেশায় দিনমজুর। অভাব-অনটনের মধ্যেও ছেলেকে লেখাপড়া শিখিয়েছিলেন দিনমজুর এনামুল হক। ছেলেকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন ছিলো তাঁর। রবিন সেনাবাহিনীতে চাকুরী পাওয়ার পরে এনামুল হকের সংসারে সুখ কিছুটা উঁকি দেয়া শুরু করতে না করতেই ছেলের এমন অকাল মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না এনামুল হক।
এদিকে, নিহত রবিনের দুর্ঘটনাজনিত এমন অকালমৃত্যুতে পরিবারের লোকজন, আত্মীয়-স্বজন সহ পুরো গ্রামবাসীর মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
দুর্গাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাজমুল হক বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। অতিরিক্ত গতি থাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তায় ছিটকে পড়ে মোটরসাইকেল আরোহী রবিন। এতে বুক ও মাথা সহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গুরুতর আঘাত পেয়েছে সে।
এ ব্যাপারে এখনো কেউ থানায় অভিযোগ করেননি। লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিএ/