বিনোদন,ডেস্ক: উমা-নেশায় ‘দুপুর ঠাকুরপো’র দেওররা তো হিমসিম খেয়েছিল, তার সাথে বুঁদ হয়েছিল গোটা বাংলার জেন ওয়াই৷ স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের অর্থাৎ ‘উমা বৌদি’ চরিত্রের মেয়াদ শেষ হয়ে এসেছিল, দ্বিতীয় সিজনে আসতে চলেছিলেন ঝুমা বৌদি৷ তাঁকে নিয়ে ঘটে গিয়েছিল একের পর এক কন্ট্রোভার্সি৷ প্রথমে, জানা গিয়েছিল ঝুমা বৌদির ভূমিকায় থাকছেন শ্রীলেখা মিত্র৷ অভিনেত্রী নিজেও এমনটাই তাই জানতেন৷ হঠাৎই ওয়েব সিরিজটির নতুন প্রোমো মুক্তি পেতেই জল্পনার ঝড় উঠেছিল তুঙ্গে৷
প্রোমোতে শ্রীলেখার জায়গায় অন্য মুখ৷ ভোজপুরী অভিনেত্রী মোনালিসা৷ তিনিই হলেন সিরিজের নতুন কাস্ট ‘ঝুমা বৌদি’৷ সেই নিয়েই পরবর্তীকালে মুখ খুলেছিলেন শ্রীলেখা৷ নানা উঞ্জন ছড়িয়েছিল টলিপাড়ায়৷ তিনি নাকি ওভারওয়েট তাই জন্যই তাঁকে সিরিজটি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে৷ অন্যদিকে এমন কোনও কারণে তাঁকে বাদ দেওয়া হয়েছে সে কথা তিনি নিজেও জানতেন না৷ তিনি জানিয়েছিলেন, “আমাকে কিন্তু বলা হয়নি, ওজন বেশি সেজন্য আমাকে ‘দুপুর ঠাকুরপো’ থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এটা আমি মিডিয়ার কাছ থেকেই শুনেছি। আর মোট বা রোগা বিষয়টা আমার কাছে একটা ধাঁধা হয়ে গিয়েছে। এই জটিল রহস্যটা আমি আজও সলভ করতে পারিনি। আজ না হয় আমি ওভার ওয়েট। কিন্তু একটা সময় তো রোগা ছিলাম। তখনও তো পর পর ছবির অফার আসেনি। এটাকে কী বলব!”
সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে আবারও ‘দুপুর ঠাকুরপো’ নিয়ে মুখ খুললেন তিনি৷ “খুব ভালো আমি করছিনা৷ ওদের যা গান, প্রেজেন্টেশন হয়েছে, ভাগ্যিশ! আমি করিনি৷ নয়তো ওখানেই হয়তো আমার চুলোচুলি লেগে যেত৷ আমার ক্ষেত্রে যা হয়েছে ভালোর জন্যই হয়েছে৷ সেই সময় অপমানিত হয়েছিলাম ঠিকই৷ আমার জায়গায় যেকোনও শিল্পীই অপমানিত হতেন৷ আমি আগের সিজনটা না দেখেই রাজি হয়ে গিয়েছিলাম৷ হঠাৎ শুনছি আমি আর করছি না৷ না জানিয়ে, কথা না বলেই আমায় বাদ দেওয়া হল৷”
‘দুপুর ঠাকুরপো’র লুক সেটে গিয়ে যে সমস্যায় তিনি পড়েছিলেন সে বিষয়ে শ্রীলেখা জানালেন, “বৌদিকে দেখে যেখানে ঠাকুরপোরা বিচলিত হয়ে যাচ্ছে, সেখানে তো বৌদিকে সুন্দর করে দেখাতে হবে৷ যাতে দর্শকরা তেমন কোনও খুঁত না খুঁজে পায়৷ আর স্ক্রিনে আমাদের বেশ কিছুটা অন্যরকম লাগে৷ আমাকেই অনেকে বলেছে যে স্ক্রিনে যতটা মোটা লাগে সামনাসামনি অতটাও মোটা নই৷ লুক সেটে আমায় এমন একটা পোশাক পরানো হল যেটা পুরো নেটের মতো৷ যেটাকে আমি মশারি বলেছিলাম৷ সেক্স শুধু ফিজিক্যালিটি নয়, মেন্টালিও হয়৷ মেয়েদের শরীর দেখেই অবজেক্টিফাই করা হয়৷ কটা মেয়ে ছেলেদের অবজেক্টিফাই করে?”
“আর বৌদি বিষয়টা খুব মিষ্টি একটা ব্যাপার৷ ছেলে দেখলেই শুধু ঠোট কামড়াবে না৷ তাহলে সে বৌদি নয়৷ যারা লাইসেন্সড দাঁড়ায় রাস্তায় বা আনলাইসেন্সড তারা৷ সেটা বৌদি নয়৷ বাঙালি বৌদি বলতে আমাদের চোখের সামনে ভাসে কাদম্বরী দেবী, চারুলতা৷ একজন মহিলা যিনি সবরকম চরিত্র প্লে করতে পারে৷ যে এক সময় বান্ধবী, এক সময় বোন, একটা সময় মা৷ বৌদি-ঠাকুরপোটা খুব মিষ্টি একটা বিষয়৷ কিন্তু যেটা হল, ভালো হয়েছে আমি করিনি৷”
খবর২৪ঘণ্টা.কম/জেএন