নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে চাপ কমাতে সরকারি সিদ্ধান্তে তৃতীয় দফায় রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ১২৯ জনকে মুক্তির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর আগে প্রথম ও দ্বিতীয় দফায় ৯৮ জনকে মুক্তির নির্দেশ দেওয়া হয়। প্রথম ও দ্বিতীয় দফার ৯৮ জনের মধ্যে এখনো জরিমানা, অর্থদণ্ড এবং অন্য মামলায় জামিন না পাওয়ায় কিছু কয়েদি রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রয়েছেন। এ তথ্য নিশ্চিত করে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার গিয়াস উদ্দিন বলেন, তৃতীয় দফায় রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ১২৯ জন কে মুক্তির নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আজ এ নির্দেশনাটি কারাগারে এসে পৌঁছে। নির্দেশ পাওয়ার পর থেকে কয়েদিদের মুক্তি দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে। আজ সন্ধ্যার মধ্যে ৭০ থেকে ৭৫ জনকে মুক্তি দেয়া সম্ভব হবে। আগের মুক্তির নির্দেশ পাওয়া কয়েদিদের মধ্যে এখনো কিছু কয়েদী শর্ত না পূরণ করায় বন্দী রয়েছে।
জানা যায়, করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে চাপ কমাতে সরকারি সিদ্ধান্তে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে এর আগে দুই দফায় ৯৮ জন জন কয়েদিকে মুক্তির নির্দেশ দেয়া হয়। প্রথম দফায় শর্ত সাপেক্ষে নির্ধারিত জরিমানা দিয়ে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান ৩৩ জন। তারা গত ৩ মে মুক্তি নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। দ্বিতীয় দফায় ৬৫ জনের মুক্তির আদেশ আসে। ৬৫ জনের মধ্যে জরিমানা দিয়ে অনেকেই কারাগার থেকে মুক্তি পান। বাকিরা শর্ত ও জরিমানা পরিশোধ না হওয়ায় তারা মুক্তি পাননি। শর্ত পূরণ হলেই তারা মুক্তি পাবেন।
রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার গিয়াস উদ্দিন জানিয়েছিলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমিত কোভিড-১৯ রোগের বিস্তার রোধে কারাগারগুলোতে ভিড় কমাতে সরকার লঘু অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের সাজা মওকুফ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। যার প্রেক্ষিতে আমাদের কাছ থেকে কারা অধিদপ্তর এ রকম বন্দিদের তালিকা কিছুদিন আগে নিয়েছিল। প্রথম দফায় ৩৩ জন কয়েদিকে ছেড়ে দেয়ার জন্য দাপ্তরিক আদেশ পেয়েই প্রয়োজনীয়
ব্যবস্থাগ্রহণ করি। যাদের কারাদণ্ডের মেয়াদ এক বছর কিন্তু ছয়মাস বা তারও বেশি সাজা খেটেছেন এ রকম কয়েদিদেরই সাজা মওকুফ করা হয়েছে। যে মামলায় সাজা হয়েছিল সে মামলায় এসব বন্দিদের আর কারাভোগ করা লাগবে না। কারণ সেই মামলার সাজা একেবারেই মওকুফ করেছেন সরকার। তবে এসব বন্দিদের জরিমানা
আরোপিত থাকলে সেটা পরিশোধ না করা পর্যন্ত মুক্তি পাবেনা। প্রথম দফায় ৩৩ জন ও দ্বিতীয় দফার ৬৫ জনকে মুক্তির নির্দেশ দেয়া হয়। এরমধ্যে কিছু কয়েদি শর্ত পূরণ করে ছাড়া হয়েছে। বাকি কয়েদিদের অঅর্থদণ্ড পরিশোধ না করায় তাদের মুক্তি দেয়া সম্ভব হয়নি। অনেকের নামে মামলা আছে সেই মামলায় তাদের জামিন নিতে হবে। অর্থদণ্ড থাকলে পরিশোধ করতে হবে। বাকিদের কারাগার থেকে মুক্তি পেতে সময় লাগতে পারে। এর পরপরই তৃতীয় দফায় মুক্তির তালিকা এসেছে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে।
এমকে